বাংলাদেশ

বৃষ্টির লাশের জানাজা নিয়ে যা বললেন ইমাম

8910_IMG_3811.jpeg

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর লাশ এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গেই রাখা আছে। পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

নিহত ওই সাংবাদিককে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শাবলুল আলম সবুজ। লাশ নিতে তিনি মর্গে এসেছেন। তবে তাকে নিজের মেয়ে দাবি করলেও সবুজ যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এনেছেন, তাতে নাম ‘বৃষ্টি খাতুন’, বাবার নাম ‘সবুজ শেখ’ এবং মায়ের নাম ‘বিউটি বেগম’ লেখা। কিন্তু নিহত সাংবাদিক পেশাগত জীবনে ও লেখালেখির জগতে নিজেকে ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত রমনা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ এবং বাবা পরিচয়দানকারী শাবলুল আলম সবুজের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে– ডিএনএ না মিললে এবং অভিশ্রুতি পালিত সন্তান হয়ে থাকলে, তার দাফন বা সৎকারের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হাবিবুর বলেন, তিনি যে পরিবারে বেড়ে উঠেছেন, আমার ধারণা আদালত তাকে সেই পরিবারের কাছেই হস্তান্তর করবেন।

খোকসার বনগ্রামে গুজব উঠেছিল, অভিশ্রুতির লাশ গ্রামে এলে জানাজা পড়ানো যাবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করেছে খোকসা থানা। 

তবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন জানিয়েছেন, সবুজ মেয়ের লাশ নিয়ে ফিরলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী জানাজা পড়ানো ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।

বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টি আমার বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০১৬ সালে সে এসএসসি পাস করে। এর পর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। সম্প্রতি আমার ছেলেকে ঢাকায় ভর্তির ব্যাপারে বৃষ্টি সহায়তা করে।

স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষক মিনা পারভীন বলেন, বৃষ্টি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করেছে।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও