আরব দুনিয়া

অভিযোগ ছাড়া তিন বছর জেল খেটে মুক্ত হলেন সৌদি প্রিন্সেস

1040_310573_Abul-2.jpg

কোনো অভিযোগ ছাড়াই প্রায় তিন বছর জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছেন সৌদি আরবের একজন প্রিন্সেস বাসমা বিনতে সাউদ ও তার মেয়ে সুহুদ। সুইজারল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা ২০১৯ সালের মার্চে। এ সময় তাদেরকে আটক করা হয়। কিন্তু কেন? এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে উচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত জেলে আটক রাখা হয়েছিল তাদের। এখন তাদেরকে মুক্তি দিলেও আর কোনো অপরাধে অভিযুক্ত করা হবে কিনা তা জানা যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

কেউ কেউ মনে করছেন, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে ছিলেন প্রিন্সেস বাসমা বিনতে সাউদ। এ জন্যই তাকে এই শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে।

তবে ২০২০ সালে জাতিসংঘের কাছে তার পরিবারের সদস্যরা লিখিতভাবে জানায় যে, প্রিন্সেস বাসমা সৌদি আরবে নির্যাতনের কঠোর সমালোচক। এ জন্য তাকে আটক রাখা হয়েছে। অন্যরা মনে করেন, সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রিন্সেস বাসমা। এ কারণে তাকে এই শাস্তি পেতে হয়েছে। সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে এখনও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

গত এপ্রিলে মুক্তি চেয়ে সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে আবেদন করেন ৫৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস বাসমা। ওই আবেদনে তিনি বলেন, কোনো অন্যায় করেননি তিনি। তার স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে যখন তাকে আটক করা হয়, তখন কি অসুস্থতার জন্য তিনি বিদেশ যেতে চাইছিলেন, তাও জানা যায়নি।

এএলকিউএসটি ফর হিউম্যান রাইটস নামে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন টুইটারে ঘোষণা দিয়েছে যে, আল হায়ের জেলখানায় বাসমার জীবন হুমকিতে। সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে না তাকে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনোই অভিযোগ গঠন করা হয়নি। উল্লেখ্য, প্রিন্সেস বাসমা হলেন সৌদি আরবের বাদশা সাউদের কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব শাসন করেছিলেন বাদশা সাউদ।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও