সারা বিশ্ব

বিশ্ববাজারে তেলের দাম দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ

1099_download (2).jpg

ওমিক্রন-পূর্ব অবস্থায় ফিরলো আন্তর্জাতিক তেলের বাজার। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম উঠেছে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একই সময়ে লেনদেন বেড়েছে প্রধান পুঁজিবাজারগুলোতে। তবে একঝাঁক মুদ্রার বিপরীতে মান হারিয়েছে মার্কিন ডলার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলার ছুঁয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামও ৮২ ডলার ছুঁইছুঁই করছে। এদিন প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৮১ দশমিক ৮৩ ডলারে।

করোনাভাইরাসের নতুন অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর, অর্থাৎ গত নভেম্বরের পরে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয়ের জন্য এটিই সর্বোচ্চ দাম।

এ বিষয়ে পিকটেট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান কৌশলবিদ লুকা পাওলিনি রয়টার্সকে বলেন, ওমিক্রন এখন পুরোনো গল্প। বিশ্ববাজার ভাইরাসের ওপর নয়, বরং আয়, ফেডারেল ব্যাংক ও অর্থনৈতিক ডেটার ওপর চলছে।

এদিকে, ‘কারেন্সি বাস্কেট’ বা নির্ধারিত মুদ্রাগুলোর বিপরীতে দর হারিয়েছে মার্কিন ডলার। সেগুলোর বিপরীতে ২০০ দিনের গড়ে ডলারের মান নেমে গেছে এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৯৫ দশমিক ৫৩৩-এ পৌঁছেছে।

ইউরোর বিপরীতে ডলারের মান চলতি বছরে সর্বনিম্ন ১ দশমিক ১৩৭-এ নেমেছে। তবে ইয়েনের বিপরীতে এর অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে (১১৫ দশমিক ৩৮৫ ইয়েন)।

যুক্তরাজ্যকে ওমিক্রন সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখায় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে। যার ফলে, এশিয়ায় গত দুই মাসের মধ্যে এর দর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৩৬৪ ডলারে পৌঁছেছে।

ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্ক কমায় লেনদেন বেড়েছে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারগুলোতে। বুধবার এমসিএসআই’র বিশ্ব সূচক বেড়েছে ০.৪২ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপির ক্ষেত্রে এর হার ০.১১ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালের সেরা সেশন কাটিয়েছে নাসদাক এবং এসঅ্যান্ডপি৫০০। এসময় তাদের লেনদেন যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও ০.৯ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে।

এদিন ইউরোপীয় পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছে ০.২৯ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০’র কাটা উঠেছে ০.৫১ শতাংশ। জাপানের নিক্কেইয়ের লেনদেন বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।এছাড়া, ‘সেফ হ্যাভেন’খ্যাত স্বর্ণের দাম ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৮১৬ ডলারে।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও