সংস্কৃতি ও বিনোদন

মুখ খুললেন শাকিব

2818_download (7).jpg

যথাযথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় ঈদের দিন থেকে জামালপুর শিল্পকলা মিলনায়তনসহ ৪টি স্থানে ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী চলছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন ১৯১৮ সালের ‘সিনেমাটোগ্রাফ আইন’ দেখিয়ে গলুইয়ের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেন। যে ঘটনায় বিস্মিত দেশের শীর্ষ তারকা শাকিব খানও। নিজের ‘গলুই’ প্রদর্শনী বন্ধে মুখ খুললেন তিনি। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুকে ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাকিব। এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করেন এই  অভিনেতা। দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে শাকিব লেখেন, করোনায় গত দুই বছর দেশের চলচ্চিত্র অনেকটাই থমকে ছিল। এবারের ঈদে ভালো মানের সিনেমার মুক্তিতে তাতে গতি আসা শুরু করছিল। তিনি বলেন, মুক্তির প্রথমদিন থেকেই আমার অভিনীত দুটি সিনেমা ‘গলুই’ ও ‘বিদ্রোহী’র হল রিপোর্টও দারুণ পাচ্ছিলাম। বিশেষ করে ‘গলুই’-এর দর্শকপ্রিয়তা ছিল শুরু থেকেই ছিল অন্যরকম

শাকিব বলেন, ‘গলুই’ সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং জামালপুর জেলায় হয়েছে। ফলে অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে ‘গলুই’ নিয়ে সেখানকার মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই জেলা শহরে নেই কোনো সিনেমা হল! বাধ্য হয়ে ‘গলুই’ সংশ্লিষ্টরা জেলা শিল্পকলাসহ ৪টি মিলনায়তনে ঈদের দিন থেকে সিনেমাটি প্রদশর্নীর ব্যবস্থা করেন। দর্শকদেরও উপস্থিতি ছিল উপচে পড়া। একের পর এক সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ হওয়ার এই সংকট সময়ে জামালপুরে বিকল্প ব্যবস্থায় ‘গলুই’ মুক্তির বিষয়টি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। যা হতে পারতো অন্য জেলা কিংবা উপজেলা শহরগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত। বাস্তবে ঘটলো উল্টো! বাদ সাধলো জামালপুর জেলা প্রশাসন! সিনেমাপ্রমীদেরও মন ভেঙে গেল। এ বিষয়ে শাকিবের অকাট্য যুক্তি, চলচ্চিত্রের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানামুখী পরিকল্পনার কথা শুনে আসছি। হলমালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া, সুস্থধারার চলচ্চিত্রের সঠিক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা, সিনেমা নির্মাণে বড় অনুদানসহ সরকারের বেশকিছু পরিকল্পনা হয়তো এখন বাস্তবায়নের পথে। আর সেই সময় যখন বৃটিশ আমলের তৈরি সিনেমার স্বার্থ বিরোধী আইন দিয়ে পথ রোধ করা হয়, তখন বিষয়টা হয়ে ওঠে সাংঘর্ষিক। এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলে বাংলা চলচ্চিত্র দিয়ে বিশ্বজয় করা তো দূরে থাক, এগিয়ে যাওয়াই অসম্ভব!
 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও