বিশেষ খবর


কনডেমড সেলে কেন দুজন বন্দী রাখা হয় না?

2871_download (3).jpg

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যে বিশেষ সেলে রাখা হয়, সেটিই কনডেমড সেল। কারাগারে থাকা অন্য বন্দীদের তুলনায় কনডেমড সেলের বন্দীদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি রয়েছে এবং অন্য বন্দীদের থাকার জায়গার সঙ্গেও কনডেমড সেলের বেশ পার্থক্য রয়েছে।

কনডেমড সেলে কেন দুজন বন্দী রাখা হয় না?
সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটি কনডেমড সেলের ছোট ঘরে সাধারণত একজন বা তিনজন বন্দী রাখা হয়। এর কারণ, ধারণা করা হয় কনডেমড সেলে দুজন বন্দী থাকলে তাঁরা কারাগার থেকে গোপনে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। তবে তিনজন থাকলে পরিকল্পনা আর গোপন থাকে না। ওই ধারণা থেকেই দুজন বন্দীকে একটি কনডেমড সেলে রাখা হয় না।কেন্দ্রীয় কারাগারের পুরোনো এই কনডেমড সেলে কত আসামিরই না মৃত্যুচিন্তায় দিন কেটেছে।

কনডেমড সেলে কেন দুজন বন্দী রাখা হয় না?
কারাগারের জীবন এমনিতেই একঘেয়ে, কষ্টকর। পরিবার–পরিজনের সাহচর্যহীন জীবন। এর মধ্যে সলিটারি কনফাইনমেন্ট বা নির্জন কারাবাস যেন জেলের ভেতরেও আরেক জেল। দণ্ডিত ব্যক্তিকে সব ধরনের মনুষ্য সাহচর্য থেকে দূরে রাখা হয়। সাধারণত গুরুতর অপরাধীদের এ দণ্ড দেওয়া হয়। একাকী একটি কক্ষে কাটে বন্দিজীবন। তবে নিয়ম আছে, একনাগাড়ে ১৪ দিনের বেশি নির্জন কারাবাস দেওয়া যাবে না। পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারেও আছে সলিটারি কনফাইনমেন্ট।

পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই ফাঁসির মঞ্চ। নিস্তব্ধ কারাগারের ভেতরে এই মঞ্চের সামনে দাঁড়ালে কেমন যেন ভয় ভয় করে! এই মঞ্চেই শত শত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই কারাগারটি কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়ার আগে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এই মঞ্চে।
 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও