সিলেট

নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৬ আশ্রয়কেন্দ্র : সিলেট নগরীর বাসা-বাড়িতে বন্যার ঢেউ

2915_image-259555-1652784004.jpg

শহরে চলছে নৌকা

টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে এবার বন্যার পানিতে তলিয়েছে সিলেট নগরী। নগরীর বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীবাসী।

জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল থেকে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। একইসঙ্গে নগরীর উপশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট।

এদিকে হঠাৎ করে বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ। অনেক এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যায় নগরীর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের নৌকায় পারাপার করতে দেখা গেছে।

নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যার পানির সঙ্গে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা বাসায় প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে। রিজার্ভ ট্যাংকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বাসায় ব্যবহার ও খাবার পানির সংকটে পড়েছি।

উপশহর ডি-ব্লকের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, বন্যার পানি দোকানে প্রবেশ করায় প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। একইসঙ্গে নষ্ট হয়েছে পণ্য রাখার ফ্রিজটিও।

সিসিকের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে উপশহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। মানুষের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করছেন সিসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসিকের অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত। সেই জন্য নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্ড ভিত্তিক ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিকালে এসব কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সিসিকের অনেক এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলমান। তবে ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে। এটা চালু হলে পানি নিষ্কাশন করে নির্ধারিত জায়গায় পানি এনে রাখা যাবে বলে জানান তিনি।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও