স্বাস্থ্য

দেশে অমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ৯১ শতাংশই বিএ.২ তে আক্রান্ত

3504_download (3).jpg

বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো করোনার  অমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন বিএ.৫ শনাক্ত হয়েছে। পহেলা মে থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত দেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে অমিক্রনের ৯ শতাংশ বিএ.৫ ও ৯১ শতাংশ বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। মে মাসে দেশে অমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন বিএ.২ এর প্রাধান্য দেখা গেছে।
"সার্স-সিওভি-২ ভ্যারিয়েন্টস ইন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ব্রিফিং রিপোর্ট: মে ২০২২" শীর্ষক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি), চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

সেখানে বলা হয়েছে, পহেলা মে থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত দেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে অমিক্রনের ৯ শতাংশ বিএ.৫ ও ৯১ শতাংশ বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিশ্বজুড়ে করোনার পাঁচটি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ (ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন) এবং ২টি ভ্যারিয়েন্টকে নজরদারির (ভ্যারিয়েন্টস আন্ডার মনিটরিং) মধ্যে রেখেছে।  

২০২১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে ‘ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন’ হিসেবে সর্বশেষ সংযোজিত হয় অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি। সংক্রমণের ক্ষমতা, ইমিউনিটি সিস্টেমকে আক্রমণের সক্ষমতা এবং ভ্যাকসিন রেসিস্ট্যান্সের কারণে একে এই তালিকায় রাখা হয়। সর্বশেষ জুন মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত দেশে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে ১২৮০ জনের।
অন্যদিকে গত মাসের ২৪ তারিখে দেশে প্রথম অমিক্রনের  বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়।  প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পুরো মে মাস জুড়ে দেশে যতগুলো করোনা কেস শনাক্ত হয়েছে তার শতভাগের পেছনেই অমিক্রন দায়ী।

সারা দেশে কোভিড-১৯ এর পজিটিভিটি রেট কমায়, মে মাসে স্যাম্পলের পরিমাণ কম ছিল। ফলে কনসোর্টিয়ামটি ১-৩১ শে মে’র মধ্যে কেবল ১১টি নমুনার সিকোয়েন্স করতে সক্ষম হয়। নমুনাগুলো ৬টি বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও