তথ্য ও প্রযুক্তি

বন্যার পানিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপরে ভেসে উঠবে এমন বাড়ি আবিষ্কার!

3637_22.jpg

বন্যার পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়া ঘটনা আমাদের দেশে ঘটে প্রায় প্রতিবছরই। এবার দেশজুড়ে বন্যায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বাড়িঘর। অবর্ণনীয় কষ্টে দিনাতিপাত করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন্যাকবলিত মানুষজন।তবে বিজ্ঞানের এই যুগে বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য আবিষ্কার হল পানিতে ভেসে থাকতে পারে এমন বাড়ি।

প্রযুক্তিবিদ, বৈজ্ঞানিক ও গবেষকদের অভিনব পরিকল্পনা বিশ্ববাসীকে বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। মহামারী হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, তারা সর্বদাই আমাদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
প্রযুক্তি এখন এতটাই এগিয়ে যে, ভূমিকম্প, বন্যা বা অন্য কোনও বিপর্যয়ের সময় ড্রোন ও রোবটের মাধ্যমে বিপর্যস্তদের উদ্ধার করা হয়।

এমনকি, ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবনকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অনেক যন্ত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে কম্পনের তীব্রতা এতটাই কম অনুভূত হবে যে বহুতল ভবনগুলো ভেঙে পড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না।

সম্প্রতি বন্যার হাত থেকে বাঁচার জন্যেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে জাপানের একটি সংস্থা। ‘ইচিজো কোমুতেন’ নামে আবাসন নির্মাণকারী সংস্থা প্রধানত বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য এক বিশেষ ধরনের বাড়ি তৈরি করছে।বন্যার সময় পানি জমতে শুরু করলে এই বাড়ির ভিতরে পানি ঢুকতে পারবে না। বরং, পানির উপরেই ভেসে থাকবে পুরোপুরি বাড়ি।

খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর সকলের কৌতুহল বেড়ে যায়। অনেকে গুজব ভাবলেও এক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সংস্থার কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এছাড়াও জাপানের টিবিস টিভি চ্যানেলেও এ নিয়ে খবর প্রচার হয়।

পানিতে বাড়িটি কীভাবে ভেসে থাকবে, তা-ও ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়। মাটির উপরে পানিরস্তর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছলে বাড়িটিও ধীরে ধীরে উপরের দিকে ভেসে উঠবে।

বাড়িটি মাটির তলায় লোহার রডের সঙ্গে ক্যাবল দিয়ে আটকানো অবস্থায় থাকে।পানির উপর প্রায় পাঁচ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাড়িটি ভেসে উঠতে পারে।পানির মাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি আবার মাটিতে নেমে আসবে।যত রকমের বৈদ্যুতিক সংযোগ তা বাড়ির উপরের দিকেই থাকবে, যাতে ভেসে ওঠার সময় পানির সংস্পর্শে এসে কোনও ক্ষতি না হয়।সারা পৃথিবীতে দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে বেশি বন্যাপ্রবণ। বহু মানুষকে এই কারণে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে।

বিশেষত ভারত, বাংলাদেশ, চীনে প্রায়শই বন্যার বিভীষিকাময় রূপ ফুটে ওঠে। এই ‘ফ্লোটিং হোম’ আবিষ্কারের ফলে শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত উন্নতিই হয়নি, এর ফলে বন্যার ভয়াবহতা থেকে রক্ষাও পাবে বিশ্ববাসী। সূত্র: অল-অ্যাবাউট জাপান, ওডিটি সেন্ট্রাল, রিয়ালটি

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও