সারা বিশ্ব

দায়েশের দায় স্বীকার খতিয়ে দেখছে পাকিস্তান

5655_download (3).jpg

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস বা দায়েশ। এমন রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করছে পাকিস্তান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিরপেক্ষভাবে এবং আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও টিভি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার বলেছে, তারা জানতে পেরেছে খাইবার পখতুনখাওয়া শাখা দায়েশের দু’সদস্য পাকিস্তান মিশনে সন্ত্রাসী হামলার নেপথ্যে আছে। 

এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, আমরা রিপোর্ট দেখেছি যে, আইএস-কেপি ২রা ডিসেম্বর (কাবুলে) পাকিস্তান দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে আমরা আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। মুখপাত্র আরও বলেন, এই হামলা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, আফগানিস্তান ও এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাস হুমকি হয়ে উঠেছে। এই অশুভ প্রচেষ্টাকে পরাজিত করতে আমাদের সমস্ত শক্তি ব্যবহার করে একত্রে কাজ করতে হবে।এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তার অংশ হিসেবে সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। 


এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স রিপোর্ট করে যে, কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে দায়েশ। তারা টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই দায় স্বীকার করে। বলেছে, তাদের মধ্যম মানের অস্ত্রধারী ও স্নাইপার অস্ত্রে সমৃদ্ধ দুই সদস্য ওই হামলা চালিয়েছে। তাদের টার্গেট ছিল পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ও তার দেহরক্ষীরা। ঘটনার সময় সেখানে দূতাবাস চত্বরে উপস্থিত ছিলেন এসব দেহরক্ষী। 
এর একদিন আগে বিভিন্ন সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে, এতে জড়িতদের উদ্দেশ্য ছিল কাবুলে পাকিস্তানের মিশন প্রধান উবাইদুর রেহমান নিজামানি’কে হত্যা করা । এ জন্য সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি পাশেই একটি ভবনের অষ্টম তলায় বসবাস করতো। সে একই ফ্লোরের তিনটি রুমে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসেস) স্থাপন করেছিল। আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ওই ভবনে গেলে সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। 


তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি স্নাইপার রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্র। ওদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরও বলেছে, আরও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে শুক্রবার হত্যা প্রচেষ্টা থেকে কোনোমতে বেঁচে যান নিজামানি। এতে একজন নিরাপত্তারক্ষী সিপাহি ইসরার মোহাম্মদ আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দিতে পেশোয়ারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে। 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও