স্বাস্থ্য

রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে যা করবেন

6223_gastric.jpg

প্রতীকী ছবি

চলছে সারাবিশ্বের মুসলমানদের পবিত্রতম মাস রমজান। এই মাসে রোজা পালনের জন্য দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলমানরা। বাংলাদেশে এ বছর প্রায় ১৬ ঘণ্টা রোজা রাখতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে এ সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক অন্যতম।

তবে, কিছু নিয়ম মেনে চললে  রমজান মাসে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

ইফতারির সময় করণীয়
ইফতারিতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেইসব খাবার তৈরি করা হয় যেমন পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি,  চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি  যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে।

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলা যাবে না। অনেকে ইফতারিতে বসেই খেতে খেতে ইসোফেগাস তথা গলবিল পর্যন্ত খেয়ে ফেলে, তা কখনোই করা যাবে না।

ইফতারে ইসুপগুলের শরবত, ডাবের পানি, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে আর শর্করা জাতীয় খাবার যথা খেজুর, পেয়ারা, ছোলা, সেমাই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারি হতে হবে লাইট মিল কিংবা অল্প পরিমাণ খাবার। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। সম্ভব হলে তারাবির নামাজের আগেই খেয়ে নিতে হবে। তাহলে খাবারের পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নামাজ পড়তে গেলে নামাজের সময় এক প্রকার ব্যায়াম হয়ে যাবে এবং সেটা খাবার পরিপাকের ক্ষেত্রে সহায়ক। সেইসঙ্গে অ্যাসিডিটি হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

অবশ্যই রোজার মাসে অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচার জন্য ডিনার কিংবা সাহরি উভয়ক্ষেত্রে শোয়ার ১ ঘন্টা আগে খাবার শেষ করতে হবে এবং খেয়ে অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তারপর ঘুমাতে হবে।

টক জাতীয় ফলে যদিও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, তথাপি টক জাতীয় ফলে সাইট্রিক অ্যাসিডও থাকে। তাই রোজার সময় টক ফল সাবধানতার সঙ্গে খেতে হবে। ভালো হয়  রাতের খাবার শেষ করে খেলে।

টমেটো ইফতারির সময় অনেকের প্রিয় খাবার। তবে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে এবং এটা পাকস্থলীতে ইরিটেশন করে। তাই টমেটো বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।

ঝাল খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

গরম খাবার যথা চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার সময় চা,  কফি ইত্যাদি পরিহার করে চলা উচিত।

সেহরির সময় করণীয়
একটু দেরিতে সেহরি করার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এতে সেহরি শেষ করে ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। এটি খাবার পরিপাকে সহায়তা করে। যদি কেউ ফজরের সময় হওয়ার ১-২ ঘন্টা আগে সেহরি করে তাহলে সে সাধারণত খাওয়া শেষ করে ২ ঘন্টা বসে থাকে না। খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পরা অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ।

সেহরির খাবারেও এসব জিনিস পরিহার করা উচিত যা অ্যাসিডিটি বাড়ায়। যেমন  চর্বিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, চা কফি ইত্যাদি।

 

উৎস: ঢাকা ট্রিবিউন

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও