রাজনীতি

আমার পদত্যাগ এ এক রহস্য : গওহর রিজভী

702_download (10).jpg

অনানুষ্ঠানিক আলাপে নিজের পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। ক’মাস পর শনিবারই প্রথম যোগ দিলেন গুলশানের এক অনুষ্ঠানে। একজন পেশাদার কূটনীতিকের লেখা একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ছিল এটি। অন্তত দু’জন পূর্ণ মন্ত্রী, ডজন খানেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গোটা বিশেক সাবেক আমলা ও কূটনীতিকের উপস্থিতিতে বড়দিনের সান্ধ্যকালীন ওই আয়োজন রীতিমতো মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝিতে ড. রিজভী বিদায় নেন। কিন্তু তার পিছু ছাড়লেন না উপস্থিত সাংবাদিকরা। হাঁটতে হাঁটতেই কথা। অবশ্য এক পর্যায়ে তিনি দাঁড়াতে বাধ্য হলেন।

প্রশ্ন একটাই, স্যার আপনার পদত্যাগের জল্পনা-কল্পনার রহস্য কি?
স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি চমৎকার একটি হাসি দিলেন। বললেন- ‘দেখেন ১১ বছর ধরে এমনটিই শুনছি। ১৩ বছর ধরে আছি আমি। প্রায় প্রতি দু’বছর পর পর আমার পদত্যাগের গুজব রটে, এ এক রহস্য। এটা যারা ছড়ায় তারা হয় আমাকে সরিয়ে দিতে চায়, না হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করতে চায়। তবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী এতে বিব্রত নন। আর আমি তো আছিই।’ অন্তত ৩ জন সাংবাদিক শেয়ার করলেন ড. রিজভীর পদত্যাগের গুঞ্জনের সত্যতা খুঁজতে তাদের কতোটা পেরেশান হতে হয়েছে।

রিজভী আবারও হাসলেন। তবে এবার তাঁর হাসিটা রহস্যের। তিনি কি যেন বলতে গিয়ে থেমে গেলেন! ততক্ষণে গেটের কাছে তার গাড়ি প্রস্তুত হয়ে গেছে। সিকিউরিটি এবং সঙ্গে থাকা স্টাফরাও তাড়া দিতে শুরু করেছেন। বলছেন, ‘স্যার আপনার প্রোগ্রামে দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ গওহর রিজভীও যেতে চাইছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কৌতূহল তো মিটছে না। এটা, ওটা নানা অ্যাঙ্গেলে জিজ্ঞাসা চলছে।

মানবজমিন-এর জিজ্ঞাসা ছিল ৭ই এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ছুটিতে থাকার যে কথা শোনা যাচ্ছে সেটা সত্য কি?
জবাবে মিস্টার রিজভী বললেন, ‘হ্যাঁ, ওই সময় পর্যন্ত আমার দেশের বাইরে একটা কাজে থাকার কথা ছিল। আমি গিয়েছিলাম কাজটি করতে, এখন এসেছি, আবার যাবো। ওই যাওয়া-আসার মধ্যেই কাজটি হয়ে যাবে।’ বেশ গম্ভীর আলাপের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী এক কূটনৈতিক রিপোর্টার পরিবেশটা হালকা করা এবং ডকুমেন্টের জন্য একটি সেলফি তোলার অনুমতি চাইলেন। একই সঙ্গে বললেন- ‘আমরা ছবিটা ফেসবুকে দিয়ে লিখবো স্যার চলে যাননি এখনও।’ এতে ড. রিজভীও বেশ হালকা অনুভব করলেন। সেলফি পর্ব শেষ হতেই তিনি চটজলদি গাড়িতে উঠে বসলেন। এতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং স্টাফরাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।

স্যারের বিদায়ের পরপরই ইলেক্টনিক মিডিয়ার সেই প্রতিনিধি ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করলেন। সেখানে তিনি লিখেন-
“ড. গহওর স্যার নিশ্চিত করেছেন, পরের বার যদি কোথাও যান, তবে আমরা হবো সাথী(হাসির ইমোজি)। এই হাসি- ঠাট্টা করতে করতেই স্যার বললেন, যে বা যারা তার পদত্যাগের খবর প্রচার করছেন, তারা হয় তাকে কিংবা পিএমকে অ্যাম্বারেস করার চেষ্টা করছেন। স্যার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চান নাই। আমরা বেশ হাসাহাসি করলাম। সময়টা যদিও মিনিট তিনেকের মতোনই হবে...”

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও