মধপ্রাচ্য

পরকীয়ার অভিযোগে ভেঙে গেল দুবাই শেখের সংসার

705_13578fc2f36ed0c3d07b323affaf9569f6c8c54b28f38397.jpg

অবশেষে ভেঙে গেল হায়া-মাখতুমের সম্পর্ক, ইতি ঘটলো দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের। সম্প্রতি দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের সঙ্গে প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনের বিচ্ছেদের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট।

রায়ে জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের কন্যা ৪৭ বছর বয়সী সাবেক স্ত্রী ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য দুবাইয়ের আমিরকে ৭৩৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্যের আইনি জগতের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বিচ্ছেদ মামলা বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।


মঙ্গলবার প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউণ্ড দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাবেক স্ত্রী ও সন্তানদের অবকাশযাপন, তাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, নিরাপত্তাসহ আরও অনেক কাজে খরচের ভার বহন করতে হবে দুবাই শাসককে। এছাড়াও প্রিন্সেসের নিরাপত্তার ব্যয়, ছুটি কাটানোর খরচ, একজন নার্স ও আয়ার বেতন ও আবাসনের খরচ, গাড়ি, এবং তার পালিত ঘোড়া ও অন্যান্য প্রাণীর খরচ কহন করতে হবে।

শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীই নন, ঘোড়দৌড়ের জগতেও রেসের ঘোড়ার একজন প্রভাবশালী মালিক তিনি। ২০০৪ সালে জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের কন্যা প্রিন্সেস হায়াকে বিয়ে করেন এই দুবাই শাসক। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ব্রিটেনে পালিয়ে যান প্রিন্সেস। এর আগে এই দুবাই শাসক নিজের দুই মেয়ে শেখ লতিফা ও শেখ শামসাকে অপহরণ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হায়া। আর এ আশঙ্কা থেকেই সন্তানদের নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান রাজকন্যা।

মূলত ২০১৯ সালে ৭২ বছর বয়সী নেতা আল মাখতুমের সঙ্গে প্রিন্সেস হায়ার বিচ্ছেদ হয়। সেসময় স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্রিটিশ দেহরক্ষীর পরকীয়ার অভিযোগ করেন এই আমিরাতি প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছর হাইকোর্টের এক বিবৃতিতে জানা যায়, শেখ মোহাম্মদ অবৈধভাবে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে প্রিন্সেস হায়া, তার দেহরক্ষী এবং আইনজীবী দলের ফোন হ্যাক করিয়েছিলেন। অবশ্য একথা অস্বীকার করেছেন শেখ মোহাম্মদ। তার কাছে কোন হ্যাক করে পাওয়া সামগ্রী নেই, এবং তার অনুমোদন নিয়ে কোন নজরদারি চালানো হয়নি বলে দাবি তার। এমনকি প্রিন্সেসের কোন ক্ষতি করতে চান না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও