তথ্য ও প্রযুক্তি

জনপ্রিয়তার শীর্ষে মুসলিম ব্লগার নাস!

745_images.jpg

ভিডিও নিয়ে এই উন্মাদনার যুগে ‘That’s one minute, see you tomorrow’- এই জনপ্রিয় ট্যাগ লাইনটি কখনো শোনেননি এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আর, এই ট্যাগ লাইনটি জনপ্রিয় করেছে যে কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রতিষ্ঠান, সেটাও নিশ্চিয়ই সবার পরিচিত, ‘নাস ডেইলি’। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রতিষ্ঠান। ফলোয়ার সংখ্যায় বিবিসি, আল-জাজিরার মতো বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যমকেও ছাড়িয়ে গেছে এরইমধ্যে।

নাস ডেইলি'র যাত্রা শুরু ২০১৬ সালে ফেসবুকে। বর্তমানে পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। আপনি যদি তাদের পেজে একবার ঢুঁ মারেন, তাহলে দেখবেন সেখানে একেকটি পোস্টে লাইকসহ অন্যান্য রিঅ্যাকশন আছে কমপক্ষে ৩০-৪০ হাজার, এতে ২-৩ হাজার  মানুষের কমেন্ট, এমনকি শেয়ারের সংখ্যাও কয়েক হাজার। আর  ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবে সংখ্যাও ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে।

ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে চমৎকার উপস্থাপনায় যিনি মাতিয়ে রাখছেন ‘নাস ডেইলি‘, তার সম্পর্কে কতটা বা জানেন?। ‘কে এই নাস? কী করেন তিনি? কেন তিনি ফেসবুকে এত এত ভিডিও আপলোড করেন?‘মূলত ভ্রমণ নেশা থেকেই নাসের এই যাত্রা শুরু। অল্প টাকায় কিভাবে বিশ্ব ভ্রমণ করা যায় তার পথ দেখিয়েছেন নাস নিজেই।

নাস ডেইলির পেজে প্রতিদিন যে হাসিখুশি মানুষটিকে দেখা যায় সেই নুসায়র ইয়াসিন ওরফে নাস মূলত একজন ইসরায়েলি মুসলিম নাগরিক। আজকের দিনে ইয়াসিনকে আমরা যেমন হাসিখুশি ও সবার সাথে সহজেই মিশে যেতে দেখি, শৈশবে তিনি মোটেই তেমনটা ছিলেন না। এ বিষয়টি তিনি নিজেই তার বিভিন্ন ভিডিওতে স্বীকার করেছেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন বেশ লাজুক স্বভাবের, সামাজিকতাবোধটুকুও তুলনামূলক কম ছিল তার মাঝে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবর্তন আসতে থাকে ইয়াসিনের মন মানসিকতায়ও। এক সময় যে ছেলেটি লজ্জার বৃত্তে নিজেকে বন্দী করে রাখতো, সেই ছেলেটিই আজকে লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা। বিশ্ব ভ্রমণের পাশাপাশি একাধারে কাজ করছেন মানুষের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও।

ভ্রমণের মাধ্যমে ইয়াসিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এভাবেই আস্তে আস্তে ঊর্ধ্বমুখী হওয়া শুরু করে আজকের দিনের তুমুল জনপ্রিয় নাস ডেইলির গ্রাফ। ইয়াসিনের দাবি, তার চিন্তা-ভাবনা আর আট-দশজন ব্লগারের মতো না। সেই সাথে তার এক মিনিটের ভিডিওগুলোও তাকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের থেকে স্বতন্ত্র একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আবার সবাই যেখানে যায়, তিনি সেখানে যেতে নারাজ। বরং নিজের দর্শকদেরকে বিশ্বের বিশালতা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা দিতেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন। রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, মাল্টার মতো তুলনামূলক কম পরিচিত স্থানগুলোর সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন সবার সামনে। ইয়াসিনের মতে, বিশ্বের অনেক অংশই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। তার দাবি, তিনি এমন সব জায়গায় গিয়েছেন, যেখানে অধিকাংশ ব্লগারই যায় না।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও