মধপ্রাচ্য

সংবিধানে নারীদের পরিচয় পরিবর্তন করল জর্ডান

906_image-504825-1641218901.jpg

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান সংবিধানে জাতীয়তার পরিচয়ে পরিবর্তন এনেছে।আগে দেশটির সকল নারী-পুরুষের পরিচয় ছিল জর্ডানিয়ান। এখন দেশটির নারীদের ‘জর্ডানিয়ান নারী’ আর পুরুষদের ‘জর্ডানিয়ান পুরুষ’ হিসেবে ডাকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

এমন পরিবর্তন করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শুধু জর্ডানিয়ান শব্দটি পুরুষবাচক শব্দ।জর্ডানের কিং আব্দুল্লাহ গত গ্রীষ্মে একটি কমিটি গঠন করেন। কিং আব্দুল্লাহ রাজনৈতিকভাবে জর্ডানকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দেন। তারাই সংবিধানে এ পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেয়।

এটি ছাড়াও কিং আব্দুল্লাহর গঠিত কমিটি আরো বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নতুন নির্বাচন ব্যবস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন। এগুলোও চলতি সপ্তাহে দেশটির সংসদে পাশ হতে যাচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল আইন পাশ হলে কিং আব্দুল্লাহর হাতে আরো ক্ষমতা চলে আসবে। তিনি তখন ইচ্ছে করলে তার প্রিয় লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসাতে পারবেন, আবার চাইলে কাউকে সরিয়েও দিতে পারবেন।

এদিকে জর্ডানের সংসদে জাতীয়তা পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। দেশটির রক্ষণশীল দল ও ইসলামিক দল এটির তীব্র বিরোধিতা করেছে। গত ২৮ ডিসেম্বর এ নিয়ে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা।

সালাহ আরমোতি নামে একজন সংসদ সদস্য দাবি করেন, বিদেশি আর্থিক সহায়তা পেয়ে সংবিধানে এমন পরিবর্তন করা হয়েছে, যা জর্ডানের জন্য ক্ষতিকর হবে।

তাছাড়া দেশটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই পরিবর্তনে নারীদের বিশেষ কোনো লাভ হবে না। এটি জর্ডানিয়ান নারীদের জাতীয় জীবনে কোনো কাজে দেবে না।

তারা বলছেন, জর্ডানের সংবিধানে অনেক কিছু আছে যা নারীদের বিরুদ্ধে গেছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো, কোনো জর্ডানিয়ান নারী যদি বিদেশী কাউকে বিয়ে করে এবং সন্তান হয় তাহলে সেই সন্তানকে জর্ডানের নাগরিকত্ব দেয়া হয় না। 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও