ঢাকা

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপিকা তাজমেরি গ্রেফতার : মুক্তি দাবী ঢাবি শিক্ষকদের 

1140_download (2).jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরি এস ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মারধরের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালে মারধরসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় করা মামলায় তাজমেরি ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাজমেরিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠান।আরও পড়ুন: বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে: তথ্যমন্ত্রীতাজমেরি ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক।

যদিও বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ জানান। বলেন, আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর মুখাপেক্ষী।তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

তাজমেরী এস ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিম ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিনা কারণে আগের গায়েবি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 

আন্দোলনের হুমকি ঢাবির শিক্ষকদের 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

তার গ্রেফতারকে বর্তমান সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। এসময় তারা তাজমেরী ইসলামের মুক্তি দাবি করে। মুক্তি না দেওয়া হলে ‘শিক্ষক ও পেশাজীবী সমাজ’ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সাদা দলের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বর্তমান আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান।

সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাজমেরী এস ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই শুধু ছিলেন না, ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। একজন রসায়নবিদ হিসেবে তিনি কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন একজন কৃতী শিক্ষাবিদকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার ও জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করার ঘটনাকে আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক ভিন্নমত দলন ও বিএনপিকে ধ্বংস করে নিজেদের রাজনৈতিক একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য সরকার যে ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করছে, তাজমেরী ইসলামের কারান্তরীণের ঘটনা এরই অংশ বলে আমাদের ধারণা। অধ্যাপক তাজমেরী কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন নারী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিক। মিথ্যা 

এর আগে, মারধরের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ২০১৮ সালে মারধরসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় করা মামলায় তাজমেরী ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।

এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাজমেরিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠান।

যদিও বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ জানান। বলেন, আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর মুখাপেক্ষী।

তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

তাজমেরী এস ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিম ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিনা কারণে আগের গায়েবি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও