দীর্ঘদিনের পরকীয়ার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চাচার দুই সন্তানসহ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক চাচী রহিমা আক্তার রুমাকে (৩৫) বিয়ে করলেন বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম।
উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিজের স্ত্রী সন্তান থাকতেও চাচার কাছ থেকে চাচীকে ভাগিয়ে নিয়ে দুই সন্তানসহ বিয়ে করায় বিষয়টি রাজনৈতিক মহল, এলাকাবাসী ও চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনার ঝড় বইছে ।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে উপজেলার কালিদাস পানাউল্লাহপাড়া গ্রামের রাইজ উদ্দিনের ছেলে ইমান আলীর সাথে নলুয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের আমির মোল্লার মেয়ে রহিমা আক্তার রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরই ভাসুর হাজী আবদুল ছবুর মুন্সীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন রহিমা।
এর ফলে দিনদিন রহিমা তার স্বামী ইমান আলীর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শরিফকে এ পথ থেকে ফেরাতে তার পরিবার ২০১৭ সালে বাসাইলের ময়থা গ্রামে বিয়ে করান। এতেও শরীফ আর রহিমা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা যায়নি। অবশেষে ২০১৯ সালে চাচীকে দিয়ে চাচাকে ডিভোর্স করান শরীফুল।
সবশেষে দুই পরিবারের সমঝোতায় গেল সপ্তাহে বিয়ের মাধ্যমে ভাতিজা শরীফুল ইসলাম ও চাচী রহিমা আক্তার রুমির দেড় যুগের পরকীয়ার অবসান ঘটলো।
রহিমা ও তার ভাই আনোয়ার মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়ই বিয়ে হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, শরিফুল ও রহিমার পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে এ বিয়েটি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা শরিফের বর্তমান স্ত্রীও মেনে নিয়েছে।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, নিজের স্ত্রী সন্তান থাকার পরও সমাজে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি হয়ে শরিফুল ইসলামের এরকম একটি কাজ করা ঠিক হয়নি।
রহিমার স্বামী ইমান আলী জানান, শরিফ আমার ভাতিজা হয়ে আমার সুখের সংসার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছে। আমার সন্তান দুটোকে সে এতিম করেছে । আমি ওই লম্পট ভাতিজার বিচার চাই।