লাইফ স্টাইল

নিরাপদ আর আরামদায়ক হোক নতুন বছরের ভ্রমণ

1281_download (9).jpg

প্রথমত মাথায় রাখা দরকার নিতান্তই মৌলিক কিছু জিনিস। ভ্রমণকালে সব সময় সঙ্গে থাকা চাই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিকাদানের সনদ। আর এখনো টিকা গ্রহণ না করে থাকলে যথাসম্ভব দ্রুত সেটা নিয়ে নেওয়া উচিত। ভ্রমণে নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রথম ধাপই টিকা গ্রহণ। তা ছাড়া অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও এয়ারলাইনসেও এখন ভ্রমণের আগে টিকা সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকা নেওয়ার পরও নিরাপত্তার বিষয়টি হেলাফেলা করা যাবে না। তাই বাড়তি সতর্কতার জন্য সঙ্গে রাখুন অসুখের বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী বজায় রাখা দরকার নিরাপদ দূরত্বও।

এবার আসা যাক আসল যাত্রার কথায়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রথমেই যে পন্থা মাথায় আসে, সেটা হলো বাস। কিন্তু বর্তমানে কাউন্টারে গিয়ে বাসের টিকিট কাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টদায়ক। আবার যানবাহন ৫০ শতাংশ ধারণক্ষমতায় চলার নিয়মের ফলে টিকিটের প্রাপ্যতাও অনেকটা কমে এসেছে। ঝামেলামুক্ত থাকতে তাই প্রয়োজন ঘরে বসেই টিকিট কাটা। আগে থেকে ঘরে বসেই যদি টিকিট কাটা যায়, তাহলে টিকিট পাওয়া নিয়েও জটিলতা থাকে না। ঘুচে যায় ভিড়ের মধ্যে কাউন্টারে যাওয়ার দুশ্চিন্তাও।
এত সব ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকে বিমান ভ্রমণ বেশি পছন্দ করেন। বিমানের টিকিট কাটার ব্যাপারটা আবার ভিন্ন। একেক এয়ারলাইনসে একেক দাম। আবার বাসের টিকিটের মতো দামগুলো খুব কাছাকাছিও নয়। বিমানের টিকিট বুকিং করতে গেলে একটু ঘাঁটাঘাঁটি না করে দেখলেই হাতছাড়া হয়ে যায় কম দামে ভালো সার্ভিসের অফার। অথচ অনায়াসে অনেকগুলো এয়ারলাইনসের মূল্য একসঙ্গে তুলনা করে দেখার সুযোগটাও অনেক সময় পাওয়া যায় না। এসব ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত হতে গো যায়ান থেকে বুক করে ফেলতে পারেন বাস কিংবা বিমানের টিকিট। ঘরে বসে বুকিংয়ের সুবিধাই শুধু নয়, বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও বাসের টিকিটের মধ্যে তুলনা করে বেছে নিতে পারবেন আপনার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ভ্রমণ।

ঘুরতে হোক বা কাজে, বাড়ি থেকে দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে আমাদের অনেকেরই। এ ক্ষেত্রে চলাচলের জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত সচেতন হতে হবে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ঘোরাঘুরির জন্য শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট নয়। খোঁজখবর রাখা দরকার পারিপার্শ্বিক পরিবেশেরও। দূরের কোনো হোটেলে থাকার ক্ষেত্রেও জেনে রাখা দরকার, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না।
 

কিন্তু আগে থেকে এগুলো কীভাবে জানা সম্ভব? খোঁজ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন গো যায়ানের ওয়েবসাইট। কোন কোন হোটেলে টিকা সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক, সেটা ওয়েবসাইটটির হোটেল পলিসির নিচেই লেখা আছে। দূরে ঘুরতে যাওয়াটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন শহরের আশপাশের রিসোর্টগুলোও। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশেই কোভিড পলিসি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। নিত্যনতুন খবরের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য ওয়েবসাইটে আছে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নির্দেশিকা। এসব সতর্কতার বাইরেও বের হওয়ার আগে নিজের শারীরিক অবস্থা যাচাই করে নেওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদি নিজে বা পরিবারের অন্য কেউ অসুস্থতা বোধ করেন, তবে বের না হয়ে কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়াই শ্রেয়। অসুস্থতার মধ্যে দূরপাল্লার যাত্রা নিজের ও আশপাশের মানুষের—সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশের মধ্যেই আমাদের মানিয়ে চলতে হচ্ছে বিগত কয়েক বছর। মানিয়ে চলার লড়াইয়ে কোনোভাবে যেন পিছিয়ে না যাই, তা নিশ্চিত করতে সচেতন হতে হবে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে। তাই অন্য সব কার্যকলাপের সঙ্গে ভ্রমণও হোক নিরাপদ আর আরামদায়ক।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও