জাতীয় দলে একসময় নিয়মিত মুখ ছিলেন নামের পাশে ‘ব্যাডবয়’ সেঁটে যাওয়া ক্রিকেটার নাসির হোসেন। যার নারী ভক্ত কিংবা বান্ধবী নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প ছড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ভালোবাসা দিবসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই ক্রিকেটার। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। বিয়ে নিয়ে জলঘোলা হয় অনেক। আর এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৈধ উপায়ে হয়নি নাসির ও তামিমা তাম্মির বিয়ে।
অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে নাসির ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। মামলার তদন্তে নাসির, তামিমা ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
তবে মানসিকভাবে শক্ত নাসিরের জীবনে এই মামলার প্রভাব তেমন একটা নেই। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তিনি। আজ (শনিবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনডোরে ফিটনেস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বেলা ১২টার দিকে মিরপুরে এসে স্বভাবসুলভ সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। রংপুর বিভাগের এই ক্রিকেটার ফিটনেস পরীক্ষায়ও অংশ নেন। গতবারের মতো এবার জাতীয় লিগে অংশ নিতে ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিতে হচ্ছে। নাসির এই টেস্টে ১৭.৪ পেয়ে পাস করে গেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হওয়া নাসিরকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রহ বেড়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর তার বক্তব্য কী, জানতে আগ্রহী নাসির-ভক্তরা। ফলে স্টেডিয়াম ছাড়ার পথে নাসিরের সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলার চেষ্টা। হাসিমুখেই এই ক্রিকেটার বলে যান, ‘আপনাদের সাবজেক্ট তো একটাই...। ওই ইস্যু নিয়ে এখন কোনও কথা নয়।’
এই বক্তব্যে নাসির পিবিআইয়ের মামলার কথাই কী বললেন! এরপর ফিটনেস ইস্যু নিয়ে নিজেই জানালেন, ১৭.৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনি পাস করেছেন।
এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব।
প্রসঙ্গত, নাসির দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। ফিটনেস টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ হয়নি তার। তবে সম্প্রতি আবুধাবি টি-টেন লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পুনে ডেভিলসের হয়ে খেলে এসেছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাসির