সাহিত্য

নোবেলের জন্য মনোনীত ছিলেন তারাশঙ্কর

5162_download (11).jpg

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য ১৯৭১ সালে মনোনীত হয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী ৫০ বছর পর নোবেল পুরস্কার কমিটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করে।

তৎকালীন ‘সাহিত্য আকাদেমি’র সেক্রেটারি কৃষ্ণ কৃপালিনী ভারত থেকে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনীত করেছিলেন। ওই বছর পাবলো নেরুদা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান এবং ১৩৭ জন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

এ সম্পর্কে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নোবেল না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করার কিছু নেই। ১৯৭১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আমরা এ সম্পর্কে শুনেছি। এখন তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতি হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, “এতবছর পর মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করায় ‘বিলাপ’ করার কিছু নেই৷ বাংলার মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছে এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অপরিসীম। তাছাড়া এই খবর আমাদের জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়।"

‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার ভাব ও শৈলী অনুবাদে প্রকাশ করা খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। হয়তো অনুবাদের ব্যর্থতার কারণে তিনি নোবেল থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।’ মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্সের কর্ণধার সবিতেন্দ্রনাথ আরও বলেন “এখনো তারাশঙ্করের রচনাবলীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি সারাবছর তাঁর ‘কবি’, ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ এবং ছোটগল্পের বই অনেক বেশি বিক্রি হয়। রয়্যালিটি হিসেবে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তাঁর পরিবার পেয়ে থাকেন।”পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বছরই ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও