কাতার যখন দু’হাজার দশ সালে বাইশের বিশ্বকাপের সাংগঠনিক অধিকার পায় তখন প্রতিটি কাতারির মনে এই বিশ্বকাপকে সফল করে তোলার উদগ্র বাসনা লালিত হয়েছিল। ধন-সম্পদের অভাব নেই কাতারের। পারস্য উপসাগরের ওপরে এমন একটা জায়গায় কাতারের অবস্থান যা প্রাকৃতিক গ্যাস ভাণ্ডারের ঠিক ওপরে।
বস্তুত, বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাসের ১০ শতাংশই কাতার ও ইরানের অধিকার। ফলত, এই প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারাই কাতার দুনিয়াকে বশে রেখেছে। কাতারের জনসংখ্যা ২৯ লক্ষ মাত্র। তাও ১০ শতাংশ মাত্র সাবেক কাতারি। ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপালের পরিযায়ী শ্রমিকে ভরা এই দেশ। যদিও মৎসজীবী কাতার অধিবাসীদের মূল পেশা- পারস্য উপসাগরে মুক্তো অভিযান এবং সেই মুক্তোর চাষ করা। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ কাতারের জিডিপি ৩.৪ শতাংশ।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে কাতার এখনও বেশ দূরে। দেশের শাসন ব্যবস্থা অল থানি পরিবারের ওপরই ন্যাস্ত। সুলতানিয়াতই শেষ কথা কাতারের। দেশের মানুষকে কোনো কর দিতে হয় না। অভ্যন্তরীণ আয়ের ওপরই কাতার চলে। সেই কারণে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষোভ নেই। দুশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে কাতার গড়ে তুলেছে স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, মেট্রো ইত্যাদি। সাধারণ মানুষ খুশি কাতার আরও সমৃদ্ধ হওয়ায়। তাই বিশ্বকাপকে স্বাগত জানাচ্ছে তারা।