পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, বোঝাপড়া ও সম্মানের ওপর যেকোনো সম্পর্ক টিকে থাকে। এর কোনো একটিতে কমতি দেখা দিলে সম্পর্ক অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রত্যেকটি সম্পর্কেই টানাপোড়েন থাকে, তবে তার সমাধানও করা যায় বোঝাপড়া ভালো রেখে ও নিজেদের মাঝে আলোচনা করার মাধ্যমে।
তবে এখন অনেকের মধ্যেই আলোচনা করার সময়টুকুও নেই। বর্তমানে কমবেশি সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এ কারণে প্রায়শই দম্পতিরা বসে একান্তে নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন না।
এর থেকেই সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সম্পর্কে বিচ্ছেদ কারো কাম্য নয়। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা ইঙ্গিত দেয় যে, আপনি বা আপনারা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন-
দ্বন্দ্ব মিটমাট না করা: সব সংসারেই টুকটাক ঝামেলা ও মনোমালিন্য ঘটে। তাই বলে সঙ্গীর সঙ্গে দিনের পর দিন কথা না বলে থাকার অভ্যাস করবেন না। এতে সমস্যা সমাধানের বদলে আরও বাড়বে।
যারা ইগোর কারণে দন্দ্ব মিটমাট না করে ও সঙ্গীর সঙ্গে কথা না বলে দিন কাটান, তাদের বুঝতে হবে এই লক্ষণ কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের দিকে টেনে নিতে পারে।
একে অপরকে দোষারোপ করা: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাট অনেক বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েই থাকে। তাই বরে একে অন্যের ওপর সব দোষ চাপানোর অভ্যাস কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এই লক্ষণ আপনাদের মধ্যে থাকলে এখনই সতর্ক হয়ে যান।
খোটা দেওয়া: যেকোনো দন্দ্ব মিটমাট হওয়ার পরও অতীতের কথাগুলো নিয়ে সঙ্গী সব সময় পিঞ্চ মারার অভ্যাসও কিন্তু বিপজ্জনক। এটিও সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। তাই ভুল বোঝাবুঝি বা দন্দ্বের অবসান ঘটলে তা নিয়ে আর কথা না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস