শীতে সর্দি-কাশি, হাঁচি, জ্বর, অ্যাজমা, বাতের সমস্যা তো লেগেই থাকে। এই সময়ে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও। ঠাণ্ডা পড়লে সবাই একটু বেশি ঘরকুনো হয়ে যায়। হাঁটাচলা বা শরীরচর্চার ইচ্ছা কমে যায়। খাদ্যাভ্যাসেও বদল আসে। শীতে আমাদের দেশে বিয়ে, নিমন্ত্রণ ও উৎসব বেড়ে যায়। এ সময়ে এমন খাবার বেশি খাওয়া হয়, যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
তাপমাত্রা নামতে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। শীতে শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়ে যায়। এই সময়ে রক্তনালী সরু হয়ে যায়। তাই হৃদযন্ত্রে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। এতেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে শীতে সকালের কিছু লক্ষণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই সেগুলো জেনে রাখা জরুরি।
সকালের দিকে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়াও হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব ইঙ্গিত হতে পারে। অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, শ্বাস কষ্ট শুরু হলে বিষয়টি মোটেই ফেলে রাখবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসককে অসুবিধার কথা জানান।
হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ হল সকালের দিকে বুকে হালকা অস্বস্তি। বুকে ব্যথা কিংবা হালকা চাপ অনুভূত হলে এড়িয়ে যাবেন না। দরকার হলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অত্যধিক ক্লান্তি কিন্তু একেবারেই ভাল ইঙ্গিত নয়। সারা রাত পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক বিষয় নয়। ঘুম থেকে ওঠার পরেই যদি ক্লান্তি ঘিরে ধরে, তা হলে বিষয়টি এক বার গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
মাথা ঘোরা অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। তবে শীতকালে সকালের দিকে মাথা ঘোরার সমস্যাকে একটু বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এড়িয়ে গেলে বিপদ হতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বমি পাওয়া। এই লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই বমি পাওয়া, মাথা ঘোরার সমস্যা গ্যাস-অম্বলের কারণে হচ্ছে ভেবে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।