খেলাধুলা

মেসির সঙ্গীর আত্নহত্যার চেষ্টা

1009_image-506563-1641618273.jpg

আত্মহত্যাই করতে বসেছিলেন লিওনেল মেসির সঙ্গী আর্জেন্টিনার ফুটবলার এমানুয়েল মাম্মানা।  চলতি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিতে গিয়ে এক ব্যক্তির আপ্রাণ চেষ্টায় বেঁচে ফেরেন তিনি। আত্মহত্যা করতে গিয়ে বিফল হন মাম্মানা।

কী এমন ঘটেছিল মেসি-ডি মারিয়ার সঙ্গীর যে, ট্রেনের নিচে কাঁটা পড়তে গিয়েছিলেন!সম্প্রতি মাম্মানা সেই ঘটনা আর্জেন্টাইন রেডিও ‘রাদিও দে লা রেদ’-এ বলেছেন।চোটে পড়ে ক্যারিয়ার থমকে যাওয়াসহ মা-বাবার মৃত্যুতে এতোটাই শোকাহত হয়েছিলেন যে, পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাইছিলেন তিনি।

‘রাদিও দে লা রেদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাম্মানা বলেন, ‘যারা মা-বাবা হারিয়েছেন, শুধু তারাই জানেন এটা কতটা কষ্টের। অনেকবারই আত্মহত্যার কথা মাথায় এসেছে। পাগলাটে কিছু একটা করে ফেলার কথা মনে আসত সব সময়’।

উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনা দলে হঠাৎ মাম্মানার উপস্থিতি ফুটবলপ্রেমীদের নাড়া দিয়েছিল। এই ডিফেন্ডারকে ভবিষ্যতের আয়ালা বলা হচ্ছিল।  ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আকাশি-সাদা জার্সিতে অভিষেক হয় মাম্মানার।

সে সময়ের আর্জেন্টিনা কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়ার তার খেলা পছন্দ হয়েছিল খুব।  তাকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় ফুটবলবিশ্বে। সে সময় স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা মাম্মানাকে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রবার্তো আয়ালার সঙ্গে তুলনা করে মাম্মানাকে।

সে সময় রিভারপ্লেট ক্লাবে খেলতেন মাম্মানা।  তাকে পেতে আগ্রহী ছিল চেলসি, টটেনহাম, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, এসি মিলান, আথলেটিকো মাদ্রিদসহ ইংল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনের বেশ কয়েকটি ক্লাব।

যদিও বিপুল অর্থে ২০১৭ সালে মাম্মানা গেলেন রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গে।একই বছরে ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে মেসির দলে সঙ্গে খেলেন মাম্মানা। সিঙ্গাপুরকে ৬-০ গোলে হারানোর পরের ম্যাচে দারুণ নৈপুণ্য দেখান।

এমন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অবস্থায় অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) চোট তার ক্যারিয়ারই থামিয়ে দেয়।  চোটের কারণে দুই দফায় ১৫ মাস খেলা থেকে ছিটকে পড়েন।  চোটের কারণে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপেও খেলা হলো না তারা।এতে হতাশার কালো মেঘে ঘিরে ধরে তাকে। আর ওই সময়টায় বাবা ও মাকেও হারান মাম্মানা। এতে একেবারেই ভেঙে পড়েন তিনি।

আর্জেন্টাইন রেডিও ‘দে লা রেদ’-এ সেই কষ্টের কথা জানিয়ে মাম্মানা বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর দুই মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও আমি কিছু ভাবতে পারছিলাম না। কিছুই ভালো লাগত না। একদিন ট্রেনে চড়ে অনুশীলনে যাচ্ছিলাম। দেখলাম অপরপাশ থেকে আরেকটি ট্রেন আসছে। ভাবলাম এ জীবন আর রাখবই না। আমি ট্রেনের দিকে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলাম। ঝাঁপ দেওয়ার ঠিব আগ মুহূর্তে পেছন থেকে কেউ একজন আমার জামার কলার ধরে টান দেন, আমাকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের দিকে নিয়ে আসেন। আমি জানি না তিনি কে। তবে ওই লোকটি আমাকে বাঁচিয়েছেন। ’

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও