যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেলে রাখার সরকারের নীতির বিরুদ্ধে তীব্র জনঅসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে একটি অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন, যা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্কের জন্য প্রয়োজনীয় ১ লক্ষ স্বাক্ষরের তিনগুণ।
এই পিটিশনটির মূল দাবি হলো—আশ্রয়প্রার্থীদের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহায়তা বন্ধ করা হোক। পিটিশনের উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে হোটেলে অভিবাসীদের রাখা একেবারেই অযৌক্তিক।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হোটেলে প্রায় ৩৮,০০০-এর বেশি আশ্রয়প্রার্থী অবস্থান করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, হোটেলগুলোতে এত বিপুল সংখ্যক বিদেশি রাখায় তাদের এলাকার সম্পত্তির মূল্য এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নতুন লেবার সরকার প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হোটেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অভিবাসীদের রাখার জন্য আরও কার্যকর ও কম খরচের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রসচিব ইয়ভেট কুপারকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে সরকার এ সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ, হাজার হাজার আশ্রয় আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এবং আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতাও রয়েছে।
এই পিটিশনটি এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নীতির পুনর্বিবেচনার দাবি আরও জোরালো করেছে। সরকার এখন একটি সুষম নীতি প্রণয়নের চাপে রয়েছে—যেখানে মানবাধিকার রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় খরচের ভারসাম্য বজায় রাখা হবে।