লন্ডন, ১০ জুন ২০২৫: ইউরোপিয়ান বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও ব্রিটিশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং জায়ান্ট মেনজিস এভিয়েশন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরপর সাক্ষাৎকালে প্রতিষ্ঠান দুটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ আগ্রহের কথা জানান।
এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাউটার ভ্যান ভার্শ বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছি।” তিনি জানান, এয়ারবাস বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে এটিকে লাভজনক করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর ৮০০টির বেশি বিমান সরবরাহকারী এয়ারবাস হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান তৈরির দক্ষতাও রাখে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমান বহর আধুনিকায়নের জন্য সব ধরনের প্রস্তাব শোনার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত, তবে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে চাই কী করা যায়, কী করা উচিত। আমরা আপনাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবো, তবে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সবকিছু নতুন করে ভাবতে হবে।”
এয়ারবাসের কর্মকর্তা জানান, যদি বাংলাদেশ বিমান বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে মোট অর্থায়নের ৮৫ শতাংশই এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি (ECA) ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব।
অন্যদিকে, লন্ডন-ভিত্তিক মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলি জানান, প্রতিষ্ঠানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো সেবাদানকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আমরা কেবল জাতীয় বিমান সংস্থাকেই নয়, বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোকেও সহায়তা করতে চাই।” তিনি জানান, যদি মেনজিসকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬৫ হাজার কর্মীর একটি অংশের জন্য ঢাকাকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।
ওয়াইলি আরও বলেন, “আমরা একটি প্রমাণিত ব্রিটিশ কোম্পানি, এবং বাংলাদেশকে আমাদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে চাই।”