যুক্তরাজ্যের গৃহহীনতা বিষয়ক মন্ত্রী রুশনারা আলী তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পূর্ব লন্ডনে তার মালিকানাধীন একটি বাড়ির ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ এবং পরে সেই বাড়িটি আরও £৭০০ বাড়তি মূল্যে পুনরায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে রুশনারা আলীর বাড়ির চারজন ভাড়াটিয়াকে জানানো হয় যে তাদের চুক্তি নবায়ন করা হবে না। তারা বাড়ি ছাড়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই সেই বাড়িটি আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়ায় আবার তালিকাভুক্ত করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গৃহহীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে রুশনারা আলীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
তার সমালোচকরা বিষয়টিকে “চরম দ্বিমুখিতা” এবং “নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে স্পষ্ট সংঘাত” বলে মন্তব্য করেছেন। সরকারের চলমান Renters’ Rights Bill অনুযায়ী, যেসব বাড়ি বিক্রির জন্য ভাড়াটিয়াদের চুক্তি বাতিল করা হবে, সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে আবার ভাড়া দেওয়া যাবে না। কিন্তু আলীর বাড়ি ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের পরপরই পুনরায় বাজারে আসায় নতুন বিতর্কের জন্ম নেয়।
রুশনারা আলী তার পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন, তিনি সবসময় আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলেছেন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পদে থাকা সরকারের কাজের জন্য বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই তিনি মনে করছেন।
প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার রুশনারা আলীর পদত্যাগ গ্রহণ করে তার কাজের প্রশংসা করেন এবং জানান, ভবিষ্যতেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এর আগে গত বছরও রুশনারা আলী গ্রেনফেল ট্র্যাজেডি বিষয়ক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন একটি বিতর্কিত সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কারণে।
রুশনারা আলীর পদত্যাগ লন্ডনের ভাড়াবাজার ও গৃহহীনতা ইস্যুতে সরকারের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আবারো আলোচনায় নিয়ে এসেছে। জনসাধারণের স্বার্থে কাজ করা একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত ভূমিকা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে!