
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দিঘিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় হাবিবুর রহমানের ওই দিঘি। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দিঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের। তার অভিযোগ, ডিএম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দিঘিতে বিষ দিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএম জিয়াউর বলেন, নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন হাবিবুর। দিঘির একটি মাছও মরেনি। মাছ মারা গেলে তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন।সোমবার বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে এই আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক কামাল হোসেনও। হাবিবুর কামাল হোসেনের অনুসারী।
চেয়ারম্যান হাবিবুর বলেন, আমি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ করে আমাকে জানান।
তিনি দাবি করেন, তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা। হাবিবুর বলেন, আমার দিঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে সোমবারই জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দেয় এই বলে যে, আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়। এরপর রাতেই আমার দিঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দিঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? এ বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।
জানতে চাইলে ডিএম জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দিঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজেই বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে, ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না। সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায় আমি তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাবিবুর মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দিঘি দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ নিয়ে অভিযোগ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।