যুক্তরাজ্য

২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১১
আরও খবর

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ২০ বছর পর্যন্ত

12756_0023a660-c613-11f0-bac6-252b1f2b7e52.jpg

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী আবাসন বা ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর) পাওয়ার নিয়মে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন সরকারি প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থান করলেও কিছু অভিবাসীকে স্থায়ী আবাসন পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে সর্বোচ্চ ২০ বছর।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শবানা মাহমুদ ঘোষণা করেছেন, আইএলআর পাওয়ার ন্যূনতম সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হবে। এই নিয়ম ২০২১ সালের পর যুক্তরাজ্যে আগত প্রায় ১৬ লাখ মানুষের ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে যারা ইতোমধ্যে স্থায়ী আবাসন অর্জন করেছেন, তারা এই পরিবর্তনের বাইরে থাকবেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, যারা ১২ মাসের কম সময় সরকারি ভাতা নিয়েছেন, তাদের স্থায়ী আবাসন পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১৫ বছর। আর যারা ১২ মাসের বেশি ভাতা নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময় হবে ২০ বছর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যের নাগরিক হওয়ার সুযোগ “অধিকার নয়, বরং একটি প্রাপ্য সম্মান, যা অর্জন করতে হয়।”

প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি জানান, “অভিবাসন ব্রিটেনের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগমনের সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।” হোম অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নিট অভিবাসনের কারণে যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৬ লাখ।

এ কারণে আগামী পাঁচ বছরে স্থায়ী আবাসনের আবেদনও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ আবেদন করতে পারেন। বর্তমানে কাজ ও পরিবারভিত্তিক ভিসাধারীরা পাঁচ বছর পর আইএলআর-এর জন্য আবেদন করতে পারেন; নতুন নিয়মে তা বেড়ে হবে ১০ বছর।

তবে কিছু ভিসাধারীর ক্ষেত্রে সময়সীমা আরও কঠোর হবে। বিশেষ করে ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতে কর্মীদের ক্ষেত্রে যোগ্যতার সময়সীমা বাড়ানো হবে ১৫ বছর পর্যন্ত। যারা সরকারি ভাতা নিয়েছেন, তারা অতিরিক্ত শাস্তিমূলক অপেক্ষা সময়ের মুখোমুখি হবেন।

এ ছাড়া সরকার একটি “আর্নড সেটেলমেন্ট” পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করছে, যেখানে অভিবাসীদের সামাজিক সম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক অবদান এবং চরিত্রগত যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে স্থায়ী আবাসন পাওয়ার আগে। আইএলআর যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজের স্বাধীনতা ও সরকারি সেবাগুলো ব্যবহারের সুযোগ দেয় এবং এটি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে জনমত গ্রহণ চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সর্বাধিক পঠিত


আরও খবর
ভিডিও