যুক্তরাজ্য

২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:১১
আরও খবর

“আমি নিজের কোম্পানির পণ্য খাই না, কারণ আমি গরিব নই”

12823_Martin_Bally_Campbell_Soup_1764044618984_1764044628649.jpeg

যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পবেল স্যুপ কোম্পানির বিরুদ্ধে একজন সাবেক কর্মীর করা মামলার পর কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক কর্মী রবার্ট গারজা বৃহস্পতিবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, ক্যাম্পবেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন ব্যালি কোম্পানির পণ্য ও গ্রাহকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এবং বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়েছেন।

গারজা প্রকাশ করেছেন এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের একটি গোপন অডিও রেকর্ডিং, যেখানে ব্যালিকে ক্যাম্পবেলের পণ্যের মান নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায়। রেকর্ডিংয়ে তিনি দাবি করেন যে তিনি নিজে ক্যাম্পবেলের পণ্য খান না, কারণ তিনি জানেন সেখানে “কি আছে”। এমনকি তিনি কোম্পানির ক্যানজাত স্যুপকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে আখ্যায়িত করেন এবং অভিযোগ তোলেন যে সেখানে ব্যবহৃত মাংস “বায়োইঞ্জিনিয়ারড” বা “থ্রিডি প্রিন্টেড”।

রেকর্ডিংয়ে ব্যালি আরও বক্তব্য দেন যে কোম্পানির পণ্য “গরিব মানুষদের জন্য”, এবং ক্যাম্পবেলের ভারতীয় কর্মীদের নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। গারজার দাবি, বেতন আলোচনা করতে ২০২৪ সালের নভেম্বরে এক রেস্টুরেন্টে ব্যালির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব দীর্ঘ অপমানজনক মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, ক্যাম্পবেল স্যুপ কোম্পানির মুখপাত্র ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, রেকর্ডিংয়ের কথাগুলো “অসত্য ও হাস্যকর” এবং কোম্পানির মান বা নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি জানান, ব্যালি আইটি বিভাগের কর্মী—খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোম্পানির দাবি, তারা কোনো ধরনের বায়োইঞ্জিনিয়ারড মাংস ব্যবহার করে না; বরং দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত, মার্কিন USDA–নির্বাচিত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নো অ্যান্টিবায়োটিকস এভার মানসম্পন্ন মুরগির মাংস ব্যবহার করা হয়।

মামলায় গারজা অভিযোগ করেন, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ সালে তাকে আকস্মিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়, যা ব্যালির আচরণের বিষয়ে কথা বলার “প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা”। তার দাবি, তিনি মানসিক চাপ, অপমান, ভয় ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং কোম্পানি বর্ণবাদী ও বৈরী কর্মপরিবেশ তৈরি করেছে।

ব্যালি ২০২২ সাল থেকে ক্যাম্পবেল স্যুপে কর্মরত। এ ঘটনায় কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, জাতিগত আচরণবিধি এবং ব্যবস্থাপনা সংস্কৃতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

সর্বাধিক পঠিত


আরও খবর
ভিডিও