বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্কের ৫০ বছর, ব্রেক্সিট ও কোভিড পরবর্তী নতুন অর্থনৈতিক ভিশন ব্রিটেনের ফরেন সেক্রেটারী ডমেনিক রেব এর নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের। আফগান ইস্যুতে জরুরী বৈঠকে চলে যান ব্রিটিশ মন্ত্রী। তবে মোবাইলে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাল তালিকা থেকে বাদ দিতে কথা হয়েছে। দ্রুত আশাকরি একটা সমাধান হবে। কয়েক হাজার ব্রিটিশ বাংলাদেশী আটকা আছেন। তবে কবে লাল তালিকা থেকে বাদ যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি মি: মোমেন।

বৃহস্পতিবার লণ্ডন সময় সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ হাইকমিশন, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে বিজনেস ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্ট্রাল লণ্ডনের কপথর্ণ হোটেলে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একে আব্দুল মোমেন । এসময় তিনি ব্রিটিশ মূলধারার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহবান জানান।

বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্কের ৫০ বছরে কোভিড পরবর্তী নতুন অর্থনৈতিক ভিশনকে বিষয় নিয়ে এই অনুষ্ঠানে বিবিসিসিআই এর লণ্ডন রিজিয়ন প্রেসিডেন্ট এএইচএম নুরুজ্জামানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই ইউকে প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ।

যুক্তরাজ্যস্থ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের সিইও রিচার্ড বার্গ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের অগ্রগতি আমেরিকার চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।

এরপর বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান স্যার হুগো সোয়াইর কেসিএম, লর্ড শেখ, বিসিসিআই এর এডভাইজার শাহগীর বখত ফারুক, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বক্তব্যে বলেন, ব্রেক্সিটের পর বাংলাদেশ হতে পারে ব্রিটেনের অন্যতম ব্যবসায়ী সহযোগী। বাংলাদেশের সাথে ভারত ও চায়নার যোগাযোগ ভালো, সাউথ এশিয়ান অনেক দেশের সাথে আমাদের যোগাযোগ ভালো, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে ইনভেষ্ট করুন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে খুব দ্রুত টিকা দেয়ার জন্য দেশেই টিকা তৈরির জন্য সিনোফার্মার সাথে চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের কোম্পানী ইনসেপ্টা মাসে ৪০ মিলিয়ন টিকা তৈরি করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাক্টরী থেকে শুরু করে যেকোন ব্রিটিশ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

মন্ত্রী আরো বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে শর্ট টার্ম ও দীর্ঘমেয়াদী ভিসা সিষ্টেমে এক্সপার্ট মাইগ্রেশন পাঠানোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।