সংস্কৃতি ও বিনোদন

স্বামী ও শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করলেন শিল্পী মমতাজ

408_Screenshot_20211020-222218_Google.jpg

কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। - ছবি: সংগৃহীত

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা ভোটে পুনরায় মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদে যাওয়ার সুযোগ হয়। তবে এবার কোটায় নয়, সরাসরি দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন। তখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো পঞ্চম শ্রেণি পাশ। আর স্বামী ছিলেন রমজান আলী। যিনি মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেশ কয়েকবারের নির্বাচিত মেয়র।

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা শিক্ষাগত যোগ্যতা ও স্বামীর নামের পরিবর্তন করেছেন মমতাজ বেগম। এ জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করেছিলেন।

মঙ্গলবার সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। সংশোধনের ফরমে স্বামী রমজান আলীর স্থলে সংশোধন করে এ এস এম মঈন হাসান নাম দিয়েছেন। আর শিক্ষাগত যোগ্যতায় পঞ্চম শ্রেণির স্থলে দশম শ্রেণি করেছেন। আবেদন ফরমের সঙ্গে তিনি পাসপোর্ট, বিয়ের সনদ ও স্কুলের ১০ শ্রেণির প্রশংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন।

আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি পরে আবার বিয়ে করেন। ফলে স্বভাবতই তার স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তবে এমপি হওয়ার পর তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কিভাবে পরিবর্তন হল তা জানা যায়নি।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হয়। সংসদ সদস্য মমতাজের আবেদনটিতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী।

উল্লেখ্য, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের স্বামী ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলী। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায। পরে তিনি তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের চিকিৎসক এ এস এম মঈন হাসানকে বিয়ে করেন।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও