অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর থেকে ঘুরে ফিরে উঠে আসছে মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরের নাম। আত্মহত্যার সময় হিমুর বাসায় ছিলেন তিনি। এদিকে ২০১৮ সালে অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যুর সময়ও মিহির ছিলেন।
হিমু ও তাজিন দুজনেই একাকী জীবন যাপন করতেন। একাকিত্বে ভোগা অভিনেত্রীদের সঙ্গে মিহিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ উঁকি দিয়েছে অনেকের মনে।
বিষয়টি নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখন পুলিশ দেখছে। তবে এই কথাটা উঠেছে। যারা একা থাকেন তাদের সঙ্গে মিহিরের থাকা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ করছেন। বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে।’
মিহিরকে নিয়ে এরকম অভিযোগ আগেও এসেছিল কী না জানতে চাইলে নাসিম বলেন, ‘না এর আগে তাকে নিয়ে এরকম কিছু শুনিনি। হিমুর মৃত্যুর পর বিষয়টি নজরে এসেছে সবার। কেননা একাকী জীবন যাপন করা তাজিন আহমদের সঙ্গেও সে ছিল। তবে এর আগে মিহির সম্পর্কে শুনেছিলাম সে মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন নাকি সেসব থেকে বেরিয়ে এসেছে। জানি না তা কতটা সত্য।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হিমুর দেহ। এরপর মিহির, উরফি জিয়া ও বাড়ির দারোয়ান মিলে তাকে উত্তরায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০০৫ সালে ছোটপর্দায় নাম লেখান হিমু। অল্পদিনেই লাভ করেন জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এ ছবিতে অরু চরিত্রে দেখা যায় তাকে।