ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনে ধংসাত্বক হামলার সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী চারজন এমপির তিনজন এমপি ! তবে এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও চরম মানবতাহীন উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন আপসানা বেগম এমপি। ইসরাইলকে সমর্থনকারী তিন এমপি হলেন, রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিকী এবং ডাঃ রুপা হক।
গত ৭ই নভেম্বর লেবার এমপি রিচার্ড বার্গনের আনা একটি পার্লামেন্টারি আর্লি ডে মোশন (সাংসদীয় প্রস্তাবনায়) ৯৬ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন - যা যুক্তরাজ্যের ৬৫০ জন এমপির মাত্র ১৫%. ১৭ই অক্টোবরএ আনা প্রথম একটি ইডিএম এ স্বাক্ষর করেছিলেন মাত্র ৯৫ জন।
এই ইডিএম এ ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং গাজা অবরোধের জন্য ইসরায়েলকে নিন্দা করে এবং হামাসের জিম্মিদের মুক্তি এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। এতে ভোটপ্রদানকারীদের মধ্যে ৪জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপিদের মধ্যে শুধুমাত্র লেবার এমপি আপসানা বেগম গাজা অবরোধের জন্য ইসরায়েলকে নিন্দা করে এবং হামাসের জিম্মিদের মুক্তি এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এর পক্ষে ভোট প্রদান করেছেন।
বাকি তিনজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি- রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিকী এবং ডাঃ রুপা হক- গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলার সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছেন।
অন্য কয়েকজন এমপি যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছেন কিন্তু ইডিএমে স্বাক্ষর করেননি। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধানত লেবার পার্টির ২৫ জন সংসদ সদস্য এতে সহমত প্রকাশ করেছেন কিন্তু স্বাক্ষর করেননি বলে জানা গেছে।
গাজায় এক মাস ব্যাপী ব্যাপক বোমা হামলা এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরও ৫০০ এর অধিক বা ৮০ শতাংশ এমপি গাজায় ইসরাইলের করা হামলা বন্ধের জন্য আহবান না করে উপরন্তু ইসরাইল এর এ হামলার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা এখন ১০০০০ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু, জাতিসংঘের সংস্থাগুলি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বেসামরিক নাগরিকদের উপর "নির্বিচার" আক্রমণ নথিভুক্ত করেছে এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলেছে যে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান "মানবতা বিরোধী অপরাধ” এ জড়িত। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন মানবাধিকার কর্মকর্তা তার বিবৃতি তে উল্লেখ করেছেন যে : "আমরা আমাদের চোখের সামনে একটি গণহত্যা দেখতে পাচ্ছি"।