ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে নোয়াখালীতে ১১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপকূলীয় হাতিয়া, সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে জেলায় মোট ১ হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২১২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে আর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৯১৩টি বাড়ি।
জানা যায়, মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। তবে দুপুরের দিকে প্রচুর বাতাস দেখা দেয়। এতে চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া এক হাজারের বেশি গাছগাছালি ভেঙে পড়ে। দুই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন এলাকার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
পল্লী বিদ্যুৎ নোয়াখালী অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, ১৬ হাজার কিলোমিটারের বিদ্যুৎ লাইনের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন এলাকার মানুষ বিদ্যুৎহীন ছিল। এরমধ্যে উপজেলা সদর দফতরগুলোতে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলায় ২২৮টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে বিধ্বস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পুরোপুরি দেওয়া হবে।
সুবর্ণচর ও হাতিয়ার একাধিক কৃষক জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে পাকা ধানগুলো নুয়ে পড়ে। আবার যেসব কৃষক ধান কেটে জমিতে রেখেছে সেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।