যশোরের চৌগাছায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে মাদরাসাটি। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই মাদরাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটিকে মাদরাসা শিক্ষক একের পর এক বেত্রাঘাত করছেন। এমনকি লাথিও মারছেন। এ সময় শিশুটি বারবার শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। ঘটনাটি যশোরের চৌগাছার কয়রাপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার।
ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী সোনানুর রহমান সাজিদ জানান, মোবাইল ফোনে এসএমএস দেয়া নিয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন কয়রাপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান। এতে তাকে বেধড়ক পেটান তিনি। পা ধরে বারবার ক্ষমা চাইলে বুক বরাবর লাথিও মারেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সাজিদের বাবা আলী আকবর অভিযোগ করে বলেন, তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন অধ্যক্ষ। এতে তার শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষত হয়েছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরদিন নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।