বাংলাদেশ

'নিরাপত্তাজনিত কারণে' আসিফ, নাহিদদের হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি

9500_IMG_9302.jpeg

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম ও আবু বাকের মজুমদারকে বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর রাতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "নিরাপত্তাজনিত কারণে" তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর রশীদ বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেন ওই ছাত্রনেতারা তাদের হেফাজতে রয়েছেন।

যদিও বিকেলে যোগাযোগ করা হলে মি. রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।

“সাদা পোশাকে তো যে কেউ নিতে পারে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নাহিদের বাবা অভিযোগ জানানোর পর হাসপাতাল সূত্রেও খবরের সত্যতা মেলে।

তারা তিনজন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে তাদের “রিলিজ করিয়ে” নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, বিকেল চারটার দিকে কয়েকজন লোক এসে কর্তব্যরত নার্সের কাছে নিজেদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোক হিসেবে পরিচয় দেন। নিজেদের পরিচয়পত্রও দেখান।

“সিস্টারের কাছে এসে বলছে ওনাদেরকে রিলিজ দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সিস্টার তখন বলেন, যে প্রফেসরের আন্ডারে আছে উনি না বললে তো আমি রিলিজ করতে পারি না,” যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

পরে সেই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

“গুরুতর কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকায়,” সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক রিলিজের অনুমতি দেন।

রিলিজ দিতে বাধ্য বা জোর করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে হাসপাতালের কর্মকর্তা বলেন, “কিছুটা ফোর্স তো করেছেই। কারণ আমরা তো রিলিজ দেই নাই, তাদের প্রয়োজনে দিতে হয়েছে।”

বিবিসি বাংলার কথা হয় আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গেও।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্যনগর হাসপাতাল থেকে আসিফ, নাহিদসহ আরেকজনকে তুলে নিয়ে গেছে।

“একবার নেয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় কেন তারা আবার আটক করলো?” প্রশ্নও রাখেন তিনি।

 

BBC News

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও