সংস্কৃতি ও বিনোদন

একের পরে এক ‘হুমকি’ নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী বাঁধন

9649_1722518339_badhon.jpg

আজমেরী হক বাঁধন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। আন্দোলনরত ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুর পরই রাস্তায় নেমেছিলেন অভিনেত্রী। শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন বাঁধন। 

আর এজন্যই নাকি একের পরে এক খুন ও অ্যাসিড মারার হুমকি পেয়েছেন তিনি। সোমবার নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক ভিডিওতে সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন বাঁধন।

ছাত্রদের ওপর চালানো গুলির ঘটনার পরের দিনই ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি ব্ল্যাক করে দিয়েছিলেন বাঁধন। তারপর থেকেই নাকি নানা ধরনের বার্তা আসতে থাকে তার কাছে। 

বাঁধন বলেন, ‘ফেসবুকে প্রোফাইল ও কভার ফটোর কালার কালো করার পরেই বলা হতে থাকে, আমি সরকারের বিরুদ্ধে। এর পর আমি একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলি, নাগরিক হিসেবে আমি এ দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এটা লেখার পর থেকে নানা মহলের ফোন পাই। আমাকে এ নিয়ে বেশি কথা বলতেও নিষেধ করা হয়।’

এর পরেও গত ১ আগস্ট রাজপথে নামেন বাঁধন। তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও হুমকি দেওয়া হয় তখন। ভিডিওতে বাঁধন বলেন, ‘বলা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতার করা হবে, কারণ আমি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ করেছি। এগুলো বলেও যখন লাভ হচ্ছিল না, তখন বলা হয় আমাকে গুলি করা হবে। এমনও বলা হয় যে, আমাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হবে। আমি তো অভিনয় করি। তাই আমাকে মেরে ফেলে কোনো লাভ হবে না! বরং অ্যাসিড ছোড়ার কথা বললে আমি হয়তো ভয় পাব। এমনকি এও বলা হয়েছে যে, রাস্তায় আমাকে পোশাক খুলে উলঙ্গ করে দেওয়া হবে, আমার বাড়িতে হামলা করা হবে।’

এসব হুমকির পরই বাড়ির নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন বলেও জানান বাঁধন। 

এদিকে এতসব বিপদ দেখেও বাঁধনকে আন্দোলনে শামিল হতে বলেন তার বাবা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বাবা বলেন যে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার থাকা উচিত। কিন্তু হুমকি আসার পর থেকে বাবাও ভয় পেয়েছিলেন। মা এবং আমার মেয়ে খুব কান্নাকাটি করেছিল। ৪ আগস্ট কারফিউ শুরু হওয়ার পর রাতে আমি নিজেও অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। ভেবেছিলাম, তিনি (শেখ হাসিনা) হয়তো সবাইকে মেরে ফেলবেন, কিন্তু নিজে পালাবেন না।’

মা-বাবা ভয় পাওয়ায় বোরকা পরে বের হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁধন। তিনি বলেন, ‘আমাকে চিনতে পারলে তো আমার ওপর হামলা করবে। তাই ৫ আগস্ট বোরকা পরে অনেকটা দূর পর্যন্ত চলে যাই। রাস্তায় নেমে দেখি লাখ লাখ মানুষ। তখন বুঝতে পারি, ওরা আর মানুষকে কিছু করতে পারবে না। তার কিছুক্ষণ পরেই তো আমরা সবটা জানতে পারি। সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। আনন্দে বোরকা খুলে পতাকা জড়িয়ে ধরি।’

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও