সংস্কৃতি ও বিনোদন

'আলো আসবেই' গ্রুপ চ্যাট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মিলন ভট্টাচার্য

9803_IMG_2529.jpeg

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে! 

তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য। গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা ১৬০ জন। অভিনেতা মিলন ভট্টাচার্যর নামও রয়েছে তালিকায়। বেশ সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে তার। এবার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বলেছেন মিলন। চেয়েছেন ক্ষমা। 

গতকাল মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে মিলন লিখেছেন, আজ (মঙ্গলবার) ফেসবুকে ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে কিছু পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। কিছু কথা আমি পরিষ্কার করতে চাই। মানুষের যেকোনো দলকে সাপোর্ট করার স্বাধীনতা থাকতেই পারে তার মানে এই নয় কোন হত্যা বা অন্যায়ের পক্ষে থাকবো বা সেটাকে সমর্থন করব। 

এরপর লেখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারাই মাঠে নেমে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছে সেখানে আমি কখনও যাইনি। কারণ আমি মনেপ্রাণে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষেই ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি ছাত্র আন্দোলনের সমস্ত দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে দেশটি যাতে শান্তিতে চলে সেই জন্য তৈরি করা।

গোপন ওই গ্রুপে সাদিয়া আয়মানের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট দিয়েছিলেন মিলন। সেখানে তাকে সম্বোধন করেছিলেন তথাকথিত অভিনেত্রী হিসেবে। এ নিয়ে তিনি লেখেন, ‘সাদিয়ার কথা বলতে চাই, আমি ফোনে বলেছিলাম যে আপনারা যে শান্তির আন্দোলন করছেন সেটা কিন্তু প্রকাশিত নয় আমাদের আর্টিস্টরাই আপনাদের বিরুদ্ধে পোস্ট করছে, তাহলে আমরা তো ছাত্রদের পক্ষে কাজ করছি সেটা তো মনে হচ্ছে না। তখন তারা জানতে চেয়েছিল কারা পোস্ট করছে সেই প্রেক্ষিতে আমি এই ছবিটি দিয়েছিলাম। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল এরা ছাত্রদের পক্ষেই কাজ করবে। আমি যখন দেখলাম ছাত্রদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তখন আমি আশ্চর্য হয়েছি কারণ আমার ধারণা ছিল না এরা এমন করবে।’

আরও লেখেন, ‘কারণ সবসময় হুমকির ওপর রাখত। সাদিয়ার ছবি হয়তো এভাবে আমার দেওয়া উচিত হয়নি তার জন্য তার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু কোন উদ্দেশ্যে দিয়েছি সেটা আমি পরিষ্কার করলাম। ব্যক্তিগতভাবে অনেক প্রশাসনিক প্রেসারের মধ্যে আমাদের রাখা হয়। এমনকি আমার পরিবারের উপর হুমকি দেয়া হয়। কাজ বন্ধ করে দিবে সেটাও বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে যারা পড়েছে তারাই জানে। এখন বলতে পারেন এ কথা, এখন কেন বলছি? ভাই আমার এত সাহস নাই। আমাদের লিস্ট করা হইছে অনেককে উঠায় নিয়ে যাওয়া হবে। অনেক প্রেসার। আপনারা যে গ্রুপটা দেখছেন সেখানে ছাত্রদের বিরুদ্ধে আমি কখনও কোনো কমেন্ট করিনি। ভেতরে ভেতরে ছাত্রদের পক্ষেই আমি কথা বলেছি যারা আমার কাছের তারা জানেন। আমি বরাবরই ছাত্রদের পক্ষেই ছিলাম। রাজপথে ছাত্রদের সাথেই ছিলাম। সর্বোপরি আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ আমাকে ভুল বুঝবেন না।’

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও