ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি দেশ ত্যাগ করেছেন। যাওয়ার আগে তিনি এক বার্তায় বলেন, দেশে খুব লম্বা সময় অবস্থান না করলেও শিগগিরই ফিরবো।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে এক স্ট্যাটাস দেন তিনি।
মাওলানা আজহারি কোনো পূর্বঘোষিত বার্তা ছাড়াই দেশে যেমন এসেছেন, ঠিক তেমনি ফিরে গেছেন। এতে অবশ্য তার ভক্তরা অবাক হয়েছেন। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবেন।
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর দেশে এসেছিলেন মাওলানা আজহারি। নয় দিনের মাথায় আবার মালয়েশিয়া ফিরে গেছেন। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে কয়েকটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছেন।
যে কারণে দেশ ছেড়েছিলেন আজহারী
যাবার আগে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরনার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
তিনি আরও লিখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটি-সহ সবকিছু অনুকূল হলে, পুরো দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
তিনি বলেন, আমি এ-জমিনে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই পরিকল্পিতভাবে। তাই আগের মতো জেলায় জেলায় গণহারে তাফসির প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি না। আউটডোর প্রোগ্রাম সীমিত করে, কিছু ইনডোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চাই। পাবলিক ইভেন্ট ছাড়াও একাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে চাই। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শীঘ্রই এসব প্রকল্পের ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ। দু’আয় রাখবেন।
চার বছর আগে আজহারী মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। সে বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’
তবে অনেকের ধারণা, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লক্ষ্মীপুরে তার এক মাহফিলে ১২ জন ভারতীয় নাগরিকের ধর্মান্তরের ঘটনা আলোচনার সৃষ্টি করে। লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে আজহারীর মাহফিলে একই পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য এক সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করা আলোচিত এই হিন্দু পরিবারটি এসেছিল ভারত থেকে। বাংলাদেশ পুলিশ ১২ জনকেই আটক করে ভারতে ফেরত পাঠায়।