কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকে কেন্দ্র করে টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইদের নিশানায় আছেন তিনি। যার ফলে বেশ কয়েকবার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত এপ্রিলে অভিনেতার বাড়ির সামনে এসে প্রকাশ্যে গুলি চালায় গ্যাং প্রধান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকেরা।
সম্প্রতি খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক। কারণ, তিনিসহ খুন হওয়া অন্যরা কোনো না কোনোভাবে সালমানের সংস্পর্শে এসেছিলেন। অর্থাৎ এ নায়ককে হত্যার আগে থামতে চায় না এ গ্যাং!
ভারতীয় রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকির ওপর গুলি চলার পর থেকে বেশ ভয়ে ভয়ে আছে সালমান খানের পরিবার। এমনকি, সালমানের নিরাপত্তার জন্য বিগ বসের সেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সালমান খান কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন ভক্তদের। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’র সঞ্চালনার সময়।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সালমান খানকে হুমকি দেয়। যেখানে বলা ছিল ‘শত্রুতা শেষ করতে ৫ কোটি রুপি লাগবে’। এমনটাই দাবি করে গ্যাংটি। মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশকে পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে বলা হয়েছিল, যদি টাকা না দেয়া হয়, তবে অভিনেতার ভাগ্য মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর চেয়েও খারাপ হবে।
সালমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য মুম্বাই পুলিশ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে একজন পাকিস্তান-ভিত্তিক একজন হ্যান্ডলারের সাথে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য যোগাযোগ করেছিল, যার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ থেকে পাচার করা একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো বন্দুকের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অন্যদিকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ২ কোটি টাকার বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনলেন সালমান খান। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, নিজের নিরাপত্তা আরো জোরদার করার জন্য দুবাই থেকে নতুন একটি বুলেটপ্রুফ নিসান প্যাট্রল এসইউভি আমদানি করলেন ভাইজান। অভিনেতার কেনা নতুন বুলেটপ্রুফ এসইউভিতে রয়েছে নতুন অনেক ফিচার। বুলেট ভেদ করতে পারবে না, এমন কাচ দিয়ে তৈরি গাড়িটি। সেই সঙ্গে রয়েছে বোম অ্যালার্ট ফিচার।
প্রসঙ্গত, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দী আছেন। তবে তার গ্যাং প্রায়শই ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।