পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশ। স্বয়ং রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। সে সময় চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী জানালেন কোথায় সেই পদত্যাগপত্র।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। সেটি প্রকাশের পর আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। সংস্কারপন্থীরা বলছেন, পলাতক সরকার প্রধানের পদত্যাগপত্র থাকা বা না থাকায় কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে আওয়ামী সমর্থকেরা নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছেন।
আজ (২১ অক্টোবর) সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে চলচ্চিত্রকার ফারুকী লিখেছেন, ‘খুনীর পদত্যাগপত্র লিপিবদ্ধ আছে শহীদের কবরফলকে।’ সেখানে এক অনুসারী মন্তব্য করেছেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে জল ঘোলাকারীদের শনাক্ত করা খুবই সহজ! কষ্ট করে পোস্টের রিয়্যাকশন চেক দিতে হবে শুধু।’
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র যদি সত্যিই জমা দেওয়া হয়, তাহলে সেটির অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকার কথা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালালেও এর খোঁজ কেউ দিতে পারেনি। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই শেষমেশ রাষ্ট্রপতির কাছেই সরাসরি ওই পদত্যাগপত্র সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।