যুক্তরাষ্ট্র

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে বাইডেন প্রশাসন

1139_311333_Anim-6.jpg

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক বছর পার করতে চলেছেন জো বাইডেন। গত এক বছরে তার সরকার বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপরে জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন গণমাধ্যমের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছে। তবে এখনো তার দেয়া অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হওয়া বাকি রয়ে গেছে। সম্প্রতি কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) জন্য করা লিওনার্দ ডাউনি জুনিয়রের করা এক প্রতিবেদনে এসব কথাই উঠে এসেছে।

ওই রিপোর্টের নাম দেয়া হয়েছে ‘নাইট এন্ড ডে: দ্যা বাইডেন এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড দ্য প্রেস’। এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় যে মিডিয়াবিরোধী নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, বাইডেন সে পথ থেকে হোয়াইট হাউজকে ফিরিয়ে এনেছেন। বরঞ্চ তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে অতীতে যে সুসম্পর্ক দেখা যেতো সেই প্রথা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ নিয়ে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা এক্টিভিস্টরা বাইডেন প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়ে আসছেন।

তারপরেও কিছু বিষয় এখনো অর্জিত হয়নি। এরমধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা চালু রাখা।

সিপিজে’র ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক রবার্ট মাহোনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যে বিষাক্ত আক্রমণ হয়েছে তা বন্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন। এটি একটি অসাধারণ শুরু। তবে এখন এই অর্জনকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে হবে। সাংবাদিকদের যে কোনো তথ্য পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে তাদেরকে গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় অভিযুক্ত করার হুমকি থেকে রক্ষা করতে হবে। যদি নিজ দেশে এগুলো নিশ্চিত করা না যায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কখনই বিশ্বের মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।

বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন তিনি। কিন্তু ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা এ ক্ষেত্রে খুব সামান্যই উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন। সাংবাদিকরা যখন কোনো তথ্যের জন্য আবেদন করছেন তখন সরকারের তরফ থেকে অসহযোগিতামূলক আচরণ করা হচ্ছে।

তবে গত এক বছরে অগ্রগতিও হয়েছে অনেক। হোয়াইট হাউজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। বৈশ্বিক গণমাধ্যমের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা সংবাদ সংস্থার সম্পাদকীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বাইডেন। ট্রাম্প প্রশাসন ভয়েজ অব আমেরিকাকে একটি প্রোপ্যাগান্ডা এজেন্সিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল। যদিও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ কমেছে সাংবাদিকদের। গত এক বছরে বাইডেন মাত্র ২২ টি সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন। যেখানে ট্রাম্প অংশ নিয়েছিলেন ৯২টিতে এবং তার আগে বারাক ওবামা অংশ নিয়েছিলেন ১৫০টিতে।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও