যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্ক ভাসছে বানের জলে, ১৪ জনের প্রাণহানী

190_Screenshot_20210902-224159_Facebook.jpg


যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে আকস্মিক বন্যা ও টর্নোডোয় অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানী হয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, বন্যার কারণে অনেক লোক তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বন্যার জেরে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। নিউ ইয়র্কের সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিও এটা ‘ঐতিহাসিক আবহাওয়াজনিত ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

নিউ ইয়র্ক শহরের প্রায় সবগুলো পাতাল রেল বন্যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য সব যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের সঙ্গে নিউ জার্সিতেও বিমানের বহু ফ্লাইট ও ট্রেন চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।

নিউ জার্সির প্যাসাইক শহরের মেয়র হেক্টর লরা সিএনএনকে বলেন, ৭০ বছরের এক ব্যক্তির মরদেহ বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নেয়া একটি গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে মৃতদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশুও রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে রেকর্ড বৃষ্টিপাত এবং পানির ঢলের কারণে এ বন্যা দেখা দেয়।

নিউ ইয়র্কের একজন বাসিন্দা জর্জ বেইলি বিবিসিকে জানান, এ রকম ভয়াবহ বন্যা হবে বলে তিনি ভাবেননি। তিনি বলেন, ‘রাতের খাবার খেতে বসার পর আমি পানির শব্দ শুনতে পাই, আমাদের বাথরুমের শাওয়ারের ড্রেন দিয়ে গল গল করে পানি ঢুকছিল। এরপর আরেক রুমে গিয়ে পানির লাইন পরীক্ষা করছিলাম। কিন্তু যখন আমি বসার ঘরে ফিরে আসলাম, ততক্ষণে সেখানে প্রায় এক ফুট পানি। যে রকম দ্রুত গতিতে পানি ঢুকে সব ভেসে গেল, তা অবিশ্বাস্য।’

নিউ ইয়র্কের পার্শ্ববর্তী নিউ জার্সিতেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং সেখানে অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিউ জার্সিতে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত নয়টি বাড়িও ধ্বংস হয়েছে।

নিউ জার্সিতে ডাক বিভাগের একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে। এ সময় ভেতরে লোকজন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তবে কত লোক আহত হয়েছে তা পরিস্কার নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে মাত্র এক ঘন্টায় সোয়া তিন ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের পুলিশ লোকজনকে রাস্তায় না যেতে পরামর্শ দিয়েছে। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, নগরীর নানা প্রান্ত থেকে আসা সাহায্যের আবেদনে তাদের সাড়া দিতে হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় আইডা গত রোববার লুইজিয়ানায় আঘাত হানার পর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ধরে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এই ঘুর্ণিঝড়টি ছিল ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লুইজিয়ানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার ঘরবাড়িতে এখনো কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। নিউ অরলিন্সে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি রয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও