বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারধারী টিকটকার খাবি লেইমকে (২৫) ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁকে লাস ভেগাসের হ্যারি রিড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করে।
আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) জানায়, খাবি লেইম ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন এবং তার ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেন। গত শুক্রবার তাঁকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেছেন।
সেনেগাল জন্মগ্রহণকারী এবং ছোটবেলা থেকেই ইতালিতে বেড়ে ওঠা খাবি লেইম মূলত কথা না বলে হাস্যকর ভিডিওর মাধ্যমে টিকটকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জটিল ও অকার্যকর “লাইফ হ্যাক” ভিডিওগুলোর সহজ সমাধান দেখিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১৬ কোটিরও বেশি।
তিনি বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন, একটি হলিউড সিনেমায় ক্যামিও করেছেন এবং একটি স্ট্রিমিং শো-তে (“Khaby Is Coming To America”) অভিনয় করেছেন, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ঘটনার আরেকটি আলোচিত দিক হচ্ছে—এক কিশোর প্রো-ট্রাম্প অ্যাক্টিভিস্ট ও টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার বো লাউডন এই ঘটনাকে নিজের “সাফল্য” হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি জানতে পারি সে অবৈধভাবে দেশে আছে। আমি নিজের উদ্যোগে প্রশাসনে যোগাযোগ করে তার বিতাড়ন নিশ্চিত করি।”
বো লাউডন নিজেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দাবি করেন এবং প্রায়ই ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, খাবি লেইম “ফার লেফট ইনফ্লুয়েন্সার” এবং ট্রাম্পকে অপছন্দ করেন—যদিও খাবি কখনও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কোনো অবস্থান নেননি।
ঘটনা সম্পর্কে খাবি লেইম বা তার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের পর সোমবার ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করেছেন, যা ইঙ্গিত দেয় তিনি এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় আছেন।