নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার সফরকে ঘিরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের প্রথমে জানানো হয় সফরসঙ্গীরা ৮ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে বের হবেন। পরে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পাল্টে ৪ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে তাদের বের করা হয়।
এই সুযোগে আওয়ামী লীগপন্থী কর্মীরা সেখানে হাজির হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, আবদুল্লাহ তাহের, আখতার ও তাসনিম জারাকে ঘিরে অপদস্থ করে। একাধিক ভিডিওতে গালিগালাজ ও ডিম নিক্ষেপের ঘটনাও ধরা পড়ে।
ঘটনায় আলোচনায় আসেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব আবদুল্লাহ। বর্তমানে তিনি কাগজে-কলমে নেপাল বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ হলেও অবস্থান করছেন নিউইয়র্কে। অভিযোগ, তিনি সরাসরি প্রোটোকলে ভূমিকা রেখে বিএনপি নেতাদের ভিড় থেকে আলাদা করে নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী কর্মীদের সামনে ফেলে দেন।
প্রশ্ন উঠছে, কেন টার্মিনাল পরিবর্তনের তথ্য বিরোধীদের না জানিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা আগে থেকে জানতে পারল? এবং কীভাবে নেপাল মিশনের একজন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে থেকে এভাবে প্রোটোকল কন্ট্রোলে যুক্ত হলেন?
এ ঘটনায় দূতাবাসে এখনো ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে।