তথ্য ও প্রযুক্তি

ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে প্রতারণার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

11976_IMG_1682.jpeg

আধুনিক এই সময় আর্থিক লেনদেন প্রায় ক্যাশলেস হয়ে পড়েছে। বেড়েছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়। হতে পারে তা হাতে থেকে সরাসরি কিংবা অনলাইনে। শপিংমলে কেনাকাটা, রেস্টুরেন্টে বিল দেয়া, সিনেমা দেখার টিকিট কাটা, ভ্রমণের জন্য টিকিট ও হোটেল বুকিং কিংবা অনলাইন থেকে কোনো কিছু কেনাকাটার ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডই ব্যবহার হয়।

প্রযুক্তির বদলে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, একইভাবে প্রতারক চক্রও তাদের প্রতারণার কৌশল হিসেবে এসব বিষয়কে লক্ষ্যে পরিণত করেছে। ফলে ঝুঁকি বেড়েছে। এ কারণে কখনো অচেনা কোনো ফোন ধরা, ভুয়া অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করা, ফিশিং লিংকে প্রবেশ না করার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও কিছু বিষয় রয়েছে, যা খেয়াল রাখলে প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান বহুজাতিক ব্যাংকিং এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ওয়েস্টপ্যাক। এবার প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নেয়া যাক-

পিন বা পাসওয়ার্ড ও ওটিপি শেয়ার না করা:
ব্যাংকিং বা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে পিন বা পাসওয়ার্ড ও ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) হচ্ছে এর মালিকানার একান্ত গোপন বিষয়। এসব কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করতে নেই। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কখনো ফোন বা মেসেজে এই গোপন নম্বর চাওয়া হয় না। যদি কেউ কখনো চায়, তাহলে বুঝতে হবে প্রতারণার চেষ্টা করছে কেউ।

সিস্টেম চেক ও ভাইরাস স্ক্যান করা:
আপনি যদি হাতে থাকা স্মার্টফোন কিংবা বাসার কম্পিউটার-ল্যাপটপ থেকে অনলাইন ব্যাংকিং করেন, তাহলে এসব ডিভাইসকে ভাইরাস ও স্পাইওয়ার থেকে রক্ষা করা জরুরি। ভাইরাস ও স্পাইওয়ার সাধারণ ওয়েব ব্রাউজিং ও সংক্রামিত ফাইল ডাউনলোডের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে। এভাবে প্রতারক আপনার ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। এ জন্য ডিভাইস সুরক্ষার জন্য সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারেন।

আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সাইন ইন করা:
অনলাইনে ব্যাংকিংয়ের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইন ইন করার অর্থ হচ্ছে, ৪, ৫, বা ৬ সংখ্যার পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের মালিকানা প্রমাণের জন্য আপনার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা। এতে প্রতারক চক্র আপনার ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে সহজে হামলার সুযোগ পাবে না।

পিন-পাসওয়ার্ড তৈরিতে সতর্কতা:
পিন-পাসওয়ার্ড একান্তই আপনার গোপন নম্বর। এই নম্বর কখনো সহজ করে দিতে নেই। বিশেষ করে ধারাবাহিক সংখ্যা যেমন- ১, ২, ৩, ৪। এছাড়া জন্মদিন, সোশ্যাল আইডেন্টিটি নম্বর, লাইসেন্স নম্বর, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, নিজের নাম বা ফোন নম্বর। মনে রাখতে হবে, ব্যাংকিং পিন নম্বর সবসময় সাধারণ পিন বা নম্বর থেকে আলাদা রাখতে হবে। যা কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার যোগ্য নয়।

কার্ড হারালে বা খুঁজে না পেলে লক করা:
কখনো ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড যদি খুঁজে না পান অথবা হারিয়ে যায়, তাহলে কালক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিক কার্ডটি অস্থায়ীভাবে লক করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকে ফোন করে বা সরাসরি গিয়ে কথা বলে লক করতে পারেন। আর কিছুদিনের মধ্যে কার্ড খুঁজে না পেলে নতুন করে কার্ড নিতে পারেন।

এছাড়াও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তায় অচেনা লিংক ও অ্যাপে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা, লেনদেনের নোটিফিকেশন চালু রাখা, নিয়মিত লেনদেনের হিসাব মিলিয়ে নেয়া, লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা, অটো-পে সেটিংসে সতর্ক থাকা, একাধিক অ্যাপে কার্ডের একই তথ্য দেয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে।



 

 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও