তথ্য ও প্রযুক্তি

ঢাকায় ড্রোনের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি দেবে ইজাকায়া

12263_IMG_3116.jpeg

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোনের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে জাপানি খাবারের রেস্টুরেন্ট ইজাকায়া। এর মধ্য দিয়ে দেশের খাবার সরবরাহ ব্যবস্থায় এক নতুন পালক যুক্ত হলো। ইজাকায়া ডেক্কো ইএসএইচও গ্রুপের একটি রেস্টুরেন্ট। যানজটের এ ঢাকা শহরের উঁচু উঁচু ভবনের ছাদগুলো ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে খাবার ডেলিভারি লক্ষ্য ইজাকায়ার। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি নিজেদের গুলশান-২ আউটলেট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোনের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি করে ইজাকায়া। জানা যায়, বর্তমানে ইজাকায়ার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরা এই তিনটি জায়গায় আউটলেট রয়েছে। বড় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে নিজেদের একটি টেকসই বিকল্প তৈরির লক্ষ্যে ড্রোন ট্রায়ালটি চালানো হয়। ড্রোনগুলোকে গুলশান-বনানী এলাকায় নির্দিষ্ট বৃত্তাকার এলাকাজুড়ে ওড়ানো হয়েছে। খাবারগুলোকে বিশেষ ধরনের বাক্সে ভরে ড্রোনের সঙ্গে বেঁধে পাঠানো হয়। গ্রাহকদের আগে থেকেই ছাদে অপেক্ষা করা বিষয়ে জানানো হয়েছিল। ট্রায়াল ড্রোন ডেলিভারি ফ্রি ছিল। তবে ভবিষ্যতে এর দাম ঠিক করবে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যাটারি লাইফ, নেভিগেশন সিস্টেম, খাবারের ওজন এসব বিষয় মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হবে ডেলিভারি চার্জ।
তবে পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের পর আপাতত ড্রোন সেবা বন্ধ রেখেছে রেস্টুরেন্টটি। ইজাকায়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং ডেক্কো ইএসএইচও গ্রুপের পরিচালক রায়ানা হোসেন বলেন, আমরা সব সময়ই ভোক্তাদের কাছে খাবার ডেলিভারির নতুন উপায় খুঁজছি। মানুষের চাহিদা বিবেচনায় আমাদের এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, ঢাকার কোথাও মাটিতে ড্রোন অবতরণ করানো প্রায় অসম্ভব কাজ। তারের জাল, ভিড় আর ট্র্যাফিক অনেক বড় বাধা। তাই ছাদই ছিল একমাত্র উপায়। রায়ানা হোসেন আরও বলেন, আমরা এখনো ডেলিভারি ফি ঠিক করিনি। ব্যাটারি লাইফ, নেভিগেশন সিস্টেম, খাবারের ওজন-সব মিলিয়ে খরচ বুঝতে হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকিও আছে। কেউ ড্রোন নষ্ট করতে পারে। বড় আকারে চালাতে হলে অনুমতি পাওয়াটাও জটিল হবে। তবে আমরা ন্যুনতম অর্ডারের সীমা নির্ধারণ করতে পারি। এতে এটা লাভজনক ও নিরাপদ হবে। তবে এখন আমরা শুধু শিখছি। রায়ানার অভিযোগ করেন, দেশের ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলো রেস্টুরেন্ট থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেয়। অতিরিক্ত চার্জ কমাতে ড্রোন দিয়ে ডেলিভারির উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ শহরে অ্যাপের চার্জ ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে এর কোন সীমা নেই। ফলে ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি জানান, তাদের টিম তথ্য বিশ্লেষণ করছে ও ফিডব্যাক নিচ্ছে। বোঝার চেষ্টা করছে, এটা কি শুধু এককালীন ট্রায়াল থাকবে, নাকি ভবিষ্যতেও দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে?

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও