
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তার এপিএস এমদাদুল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭), এমদাদুল হক (৫২), সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), আলফাজ উদ্দিন (৬৩), দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, উল্লেখিত আসামিরা অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়ার ৭২ শতাংশ, মোস্তফা মনোয়ার ভুঁইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুঁইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুঁইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুঁইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুঁইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য সরকারি দর অনুযায়ী (প্রতি শতাংশ ৩,৬১,৪০০ ×২৪০১.৪৬) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবরদখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। পরে আদালতের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪শ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মো. সবজেল হোসেন বলেন, থানায় মামলাটি হয়েছে। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।