মধপ্রাচ্য

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় সৌদি নারীর ৪৫ বছরের কারাদণ্ড

4453_download (7).jpg

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার কারণে এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আদালতের নথির বরাত দিয়ে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো। খবর এএফপির।

ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডিএডব্লিউএন) জানিয়েছে, নুরাহ আল-কাহতানি নামের ওই নারী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আপিলে তার ওপর এই দীর্ঘ সময়ের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে সৌদির কাউন্টার-টেরোরিজম এবং অ্যান্টি-সাইবার ক্রাইম আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

তবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। ডিএডব্লিউএন-এর প্রতিষ্ঠাতা দেশটির প্রয়াত সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি কনস্যুলেটে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এখন পর্যন্ত তার মৃত্যু যেন এক রহস্যই রয়ে গেছে।

মাত্র কয়েকদিন আগেই টুইটার ব্যবহার করা, সমাজকর্মীদের অনুসরণ এবং রিটুইট করার অভিযোগে সালমা আল-শেহাব নামে এক সৌদি নারীর ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির সন্ত্রাস দমনবিষয়ক বিশেষ আদালত।

ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্রী সালমা আল-শেহাব। ছুটিতে সৌদিতে নিজ বাড়িতে ফেরেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি দেশে অশান্তি তৈরি করছেন এবং নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। শুধু তাই নয় এমন ব্যক্তিদেরও টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করছেন।

৩৪ বছর বয়সী সালমার দুই সন্তান রয়েছে। সালমার টুইটারের কাজকর্মকে ‘অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে সন্ত্রাস দমনবিষয়ক বিশেষ আদালত প্রাথমিকভাবে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। আদালতের যুক্তি, সালমার এই কাজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।

তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন যে, এই ‘অপরাধের’ সঙ্গে বাকি অপরাধমূলক কাজকর্ম যেন যুক্ত করা হয়। সে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সালমাকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ৩৪ বছর বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও