মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি লোক সৌদি আরবের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরুদ্ধে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে রক্ষা করার জন্য সৈন্য পাঠাবে।
গত ২৯-৩১ আগস্ট হ্যারিস পোল এবং দি কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা যায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের ৫৫ ভাগ এ ধরনের চুক্তির বিরুদ্ধে।
কুইন্সি ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমেরিকার জনগণ অব্যাহতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর বিরোধিতা করছে। তারা নিশ্চিতভাবেই নতুন যুদ্ধ চয় না। আর এই বিশেষ ক্ষেত্রে যুদ্ধ খোদ যুক্তরাষ্ট্র শুরু করবে না, বরং সৌদি আরবের সাথে চুক্তির কারণে হবে।'
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ওয়াশিংটন চাপ সৃষ্টি করার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, চুক্তিতে এমন ধারা থাকবে যে সৌদি ভূখণ্ডে বা এই অঞ্চলে দেশটি আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একে অপরকে সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।
সৌদি আরবে ইতোমধ্যেই তিন হাজার সৈন্য মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ দুটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই বিদ্যমান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা চাপের মুখে রয়েছে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর